অনলাইনে আয়ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ বিভিন্ন গ্যাটাগরিতে বিদ্যমান। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ শিখে আপনি আয় করতে পারেন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে চান ; তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে কোন ক্যাটাগরি বেছে নিবেন, কোন কাজটি আপনার জন্য সহজ হবে এবং কোন কাজের কেমন আয় করতে পারবেন তা এই আর্টিকেল থেকে খুব সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কী ? 

অনলাইনে কেউ তার শিক্ষা, দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও অভিজ্ঞতাকে প্রয়োগ করে কোনো সংস্থা, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে যে কোন স্থান থেকে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের যে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে তখন সেই কাজকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং। 

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

 # সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

# ডিজিটাল মার্কেটিং

# গ্রাফিক্স ডিজাইন

# কন্টেন্ট রাইটিং

# ডাটা এন্ট্রি 

# ভিডিও এডিটিং 

# প্রোগ্রামিং এন্ড টেক

# ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

# ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট

# সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

# According and consulting 

# ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন (WordPress Customization)

# ফটো এডিটিং 

ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট

প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। ফলে ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওয়েব ডিজাইন বলতে বুঝায় একটা ওয়েবসাইটের দৃশ্যমান অবস্থা। আপনি এখন যে আর্টিকেলটি পরছেন তার ফন্ট সাইজ,কালার, উপরে হেডার,লোগো, নিচের দিকে ফুটার, ডানে সাইডবার, Advertisements  এগুলো কোথায় কিভাবে  ডিজাইন করবেন সেই কাজগুলো ওয়েব ডিজাইনের অংশ। যে এই কাজগুলো করে তাকে ওয়েব ডিজাইনার বলে। তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি? একটি ওয়েবসাইটকে কোডিং এর মাধ্যমে যে ফাংশনাল কাজ করা হয় তাকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলে। যে কাজগুলো করে তাকে ওয়েব ডেভলপার বলে। ধরুন আপনি একটা বাস তৈরি করলেন। বাসের ছাদ, গ্লাস, কালার, সিট সুন্দরভাবে স্থাপন করলেন ; তারমানে আপনি ওয়েব ডিজাইনের মত কাজ করলেন ; কিন্তু বাসের ইঞ্জিন না থাকলে বাসের যেমন মুল্য নেই, তেমনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ ব্যতীত শুধু ডিজাইনের মুল্য নেই। বাসের ইঞ্জিনের সাথে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের তুলনা করা যায়। ডিজাইনকৃত পেজকে ইউজারের Use উপযোগী করার জন্য যে কাজগুলো করা হয় তাই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ। ওয়েব ডিজাইন মুলত ওয়েব ডেভেলপমেন্টেরই অংশ। ওয়েব ডেভলপার হতে যেসব বিষয় শিখতে হবে তা হলো- HTML, XML, CSS, Javascript & jQuery, PHP, Git. আপনি যদি নিজেকে দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার ও ডেভলপার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে অনলাইনের বিভিন্ন মার্কট প্লেসগুলো থেকে আয় করতে পারবেন।  বিভিন্ন আইটি কোম্পানি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে দৈনিক কয়েক ঘন্টা কাজ করে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং সবচেয়ে বড় সেক্টর। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি তাদের ব্যান্ড বা পণ্যের বিজ্ঞাপন অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। ফলে তাদের ব্যবসার পরিধি বিস্তার লাভ করে এবং মানুষও তাদের পছন্দের পণ্য খুব সহজেই ক্রয় করতে পারে। এটাই ডিজিটাল মার্কেটিং। অ্যামাজন, দারাজের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন, ব্যানার, পোস্টার দেখতে পান। এগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদাহরন। এখন কথা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আপনি কিভাবে কাজ পাবেন। আপনি SEO শিখে আয় করতে পারেন। কেউ যখন কোন টপিক, পণ্যের জন্য সার্চ করে তখন  যে সাইটগুলোর রেজাল্ট প্রথমে আসে সেই সাইটগুলো থেকেই নিদিষ্ট  টপিক, পণ্য খোঁজখুজি করে। ভাল ব্যবসা করার জন্য সার্চ রেজাল্টের প্রথমে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা SEO (Search engine optimization) এর মাধ্যমে করা হয়। তাই SEO expert হলে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে কাজ পেতে কোন সমস্যা হবে না। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজের চাহিদা যেমন বেশি ; তেমনি কাজের ক্ষেত্রও বিভিন্নমুখী। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, এসইও, ভিডিও মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, মোবাইল মার্কেটিং ইত্যাদি। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী উক্ত এক বা একাধিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে আয় করতে পারেন।

কনটেন্ট রাইটিং

আপনার কি লেখালেখি করতে ভাল লাগে?  কোন বিষয়কে সুন্দরভাবে লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারেন? উত্তর যদি yes হয়  তাহলে ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনাকে স্বাগতম। কনটেন্ট রাইটিং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মধ্যে প্রচুর চাহিদার স্থান দখল করে নিয়েছে। কন্টেন্ট রাইটার হয়েও অনেক টাকা আয় করতে পারেন। কনটেন্ট রাইটিং এর কাজের ক্ষেত্রগুলো হলো ওয়েবসাইট কনটেন্ট রাইটিং, টেকনিক্যাল রাইটিং, সিভি, ব্লগ পোস্ট রাইটিং, ইবুক রাইটিং। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মধ্যে যে কাজটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় তা হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো এমন একটি শিল্প যেখানে ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদি সফটওয়্যারের মাধ্যমে চিত্র দিয়ে   নকশা ডিজাইন করাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে।  গ্রাফিক্স ডিজাইনে পারদর্শী হলে আপনার সামনে বেশ কিছু কাজের সুযোগ আছে। বিভিন্ন কোম্পানি, ওয়েবসাইটের লোগো ডিজাইন তৈরি করা। টি-শার্ট, জামা কাপড়ের ডিজাইন করা। বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন প্রিন্ট করে পাবলিশ করতে ডিজাইন করা। বিজ্ঞাপন তৈরি। পোস্টার ব্যানার তৈরিতে ডিজাইন করা। এনিমেশন তৈরিতে। বিয়ের কার্ড তৈরিতে। বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত অনুষ্ঠানে। প্যাকেজিং গ্রাফিক্স ডিজাইন। সফটওয়্যার তৈরি। পানীয় বোতলে ডিজাইন। নাটক, সিনেমার দৃশ্যে। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমুহের মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা এত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে যে কাজের তুলনায় ডিজাইনারের সংখ্যা কম। তাই পেশা হিসেবে  গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে ক্যারিয়ার গড়াতে পারেন। এজন্য শিক্ষা, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, creativity এবং drawing এর জ্ঞান থাকা দরকার। বিভিন্ন কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট এর গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে প্রতি মাসে প্রায় ১৫০০০ থেকে ৩০০০০ আয় করতে পারেন। আপনার কাজের দক্ষতা যত বৃদ্ধি পাবে ; আয়ও ততই বাড়তে থাকবে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মধ্যে উচু স্থান দখল করে নিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, টুইটার ইনস্ট্রাগ্রামে বিভিন্ন কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি তাদের ব্যবসার প্রচারণা চালায়। কিন্তু তাদের পণ্যের Advertisements, picture, text আকর্ষনীয়ভাবে কিভাব মানুষের কাছে পৌঁছে দিবে সেজন্য Experts ম্যানেজারের প্রয়োজন হয়। আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সিং ডট কম ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে চাকরি পাওয়া যায়।

ডাটা এন্ট্রি

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলো ডাটা এন্ট্রি । ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো খুব সহজ হওয়ায় অনেকের কাছে তা পছন্দের শীর্ষ তালিকায়। যে প্রক্রিয়ায় কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস দিয়ে কোন ডাটা বা তথ্যকে এক প্রোগ্রাম থেকে অন্য প্রোগ্রামে সেই ডাটা বা তথ্যের প্রতিলিপি তৈরি করাকে ডাটা এন্ট্রি বলে। ডাটা এন্ট্রির কাজগুলোর মধ্যে যেমন কপি পেস্ট, ইমেইল প্রসেসিং, অডিও শুনে টাইপিং, Data conversion, ক্যাপচা এন্ট্রি ইত্যাদি। ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে চাইলে ভালো মানের ল্যাপটপ থাকতে হবে, দ্রুত গতিতে টাইপিং দক্ষতা থাকা, Ms word, Ms Excel এর কাজগুলো ভালোভাবে জানতে হবে।

SEO ( সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)

Seo হলো Search Engine Optimization. ধরুন সার্চ ইঞ্জিনে আপনি ডিপ্রেশন  লিখে সার্চ দিলেন, তখন গুগল আপনাকে অনেকগুলো ফলাফল দেখাবে ; তারমধ্যে ভাল রেজাল্টগুলো প্রথমে দেখাবে যা এসইও এর মাধ্যমে করা হয়। অর্থাৎ কেউ যখন Google, bing, yahoo সার্চ ইঞ্জিনে কোন তথ্য খুঁজে পেতে সার্চ করে তখন Google বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত সেই তথ্যগুলোর রেজাল্ট দেয়। সাধারণত গুগলের দেয়া রেজাল্টের ১ম পেজের প্রথমের দিকে থাকা ওয়েবসাইটের রেজাল্টগুলোতেই মানুষ ক্লিক করে। যে নিয়মকানুন ব্যবহার করে রেজাল্টগুলো দেখানো হয় তাকে SEO বলে। সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে প্রথমে যে ওয়েবসাইটগুলো থাকে সেগুলতে ক্লিক করে মানুষ তার কাংক্ষিত তথ্য খুঁজে নেয়। তাই রেজাল্ট পেজের প্রথমে  যাতে আমাদের ওয়েবসাইটকে পায় সেজন্য SEO করা প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মধ্যে SEO খুবই গুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে, SEO শিখে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস,  কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থায় চাকরি করে অনেক টাকা আয় করতে পারেন। 

পোস্টটি শেয়ার করুন

Md Amiruzzaman

I am a professional web designer, seo expert & wordpress developer.

One thought on “ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page