ভয়ংকর মানসিক ব্যাধি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় জানা জরুরী। কেননা দীর্ঘমেয়াদি এই মানসিক অসুস্থতা জীবনকে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়।
ডিপ্রেশন কী ?
আপনি কি ছোট খাটো সমস্যায় পরলেই ভেঙে পরেন! হতাশ হয়ে যান! বেঁচে থাকাটা কি আপনার কাছে যন্ত্রণা মনে হয় ? আপনার অবস্থা যদি এরকম হয়; তাহলে ধরে নিন আপনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন। এই ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় জানতে হলে আগে বুঝতে হবে ডিপ্রেশন কি, ডিপ্রেশনের প্রকারভেদ, কারণ ও লক্ষণ কি কি ? “ডিপ্রেশন” এটি একটি ইংরেজি শব্দ। Depression এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো বিষন্নতা বা হতাশা। ডিপ্রেশন বা হতাশা এমন এক ধরনের মানসিক ব্যাধি যা নিরবে মনে ও শরীরে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বিভিন্ন কারণে, নানা রকম ঘটনার চাপে পড়ে মন খারাপ হয়। কোন কাজ করতে পারে না, কোন কিছুতে উৎসাহ পায় না, ঠিকমত কারো সাথে কথা বলে না, সারাদিন মনমরা হয়ে থাকে। শারীরিক, মানসিক বা আর্থিক যেকোনো সমস্যাই হতে পারে। মনের এরকম অবস্থাকে বলে ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা।
ডিপ্রেশনের প্রকারভেদ :
সাধারণত ডিপ্রেশন দুই প্রকার যথা ১। ইউনিপোলার ডিপ্রেশন ২। বাইপোলার ডিপ্রেশন
ডিপ্রেশনের গভীরতা
আবার ডিপ্রেশনের গভীরতা তিন প্রকার যথা :
১। হালকা বিষন্নতা
২। মাঝারি
৩। গুরুতর বিষন্নতা
ডিপ্রেশনের কারণঃ
১। দূর্ঘটনা
২। আর্থিক সমস্যা
৩। প্রিয়জন হারানো
৪। হরমোনের পরিবর্তন
৫। আবহাওয়ার পরিবর্তন
৬। পরীক্ষার খারাপ রেজাল্ট
৭। ফ্যামিলি প্রবলেম
৮। প্রেমঘটিত সমস্যা
৯। শারীরিক অসুস্থতা
১০। দীর্ঘস্থায়ী রোগ
১১। জেনেটিক কারণে
১২। স্নেহবঞ্চিত ও অবহেলা
ডিপ্রেশনের লক্ষণসমূহঃ
ডিপ্রেশনের কিছু লক্ষ্মণ আছে। এই লক্ষ্মণগুলো ভালোভাবে জেনে ব্যবস্থা নেয়া হলে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় নিশ্চিত হবে।
১। ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেকে ভালো লাগবে না।
২। নিজেকে সবসময় হতাশগ্রস্থ, বিভ্রান্ত এবং পরাজিত বোধ মনে করবে।
৩। জীবনের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃস্টি হবে।
৪। আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকে।
৫। মন দিয়ে কোন কাজ করতে পারে না।
৬। তিনি বেশিরভাগই একা থাকতে পছন্দ করেন।
৭। আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
৮। সারাদিন ক্লান্তি অনুভব করবে।
৯। কোন কাজের বিষয়ে উপস্থিত বুদ্ধি আসে না।
১০। শরীরে অস্বস্তি বা ব্যথা-বেদনা বাড়বে।
১১। ঘুমের সমস্যা দেখা দেবে।
১২। কথাবার্তা নেতিবাচক হয়।
১৩। ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা বাড়বে।
১৪। মনোযোগে অসুবিধা দেখা দিবে।
১৫। আগে যে সব কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পছন্দ করত সেগুলি আর আকর্ষণ করবে না।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায়
১। নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখতে হবে।
২। নেশা জাতীয় বস্তু ত্যাগ করা।
৩। পজেটিভ চিন্তা ভাবনা করা।
৪। শরীরচর্চা করা।
৫। ডাক্তারের পরামর্শ ও চিকিৎসা গ্রহন করা।
Read more
কিসমিসের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
৬। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
৭। পরিবারের সদস্যদেরকে সময় দিন।
৮। বন্ধু ও আত্নীয়স্বজনদের সাথে মেলামেশা করুন।
৯। নৈতিকতা ও মুল্যবোধ থাকা।
১০। ফরজ ইবাদতগুলো নিয়মিত পালন করুন
১১। ধৈর্য্য ধারণ করুন।
১২। ভ্রমন করুন; প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করুন।
১৩। ভাল বই, ম্যাগাজিন পরুন।
১৪। শিক্ষনীয় ভিডিও,অডিও উপভোগ করুন।
১৫। সব সমস্যার সমাধানের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন।
১৬। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
১৭। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
১৮। নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে।
১৯। নিজেকে ভালবাসুন।
২০। চিন্তার মধ্যে সৃজনশীলতা আনুন।
প্রশ্নোত্তর
ডিপ্রেশন কত প্রকার ?
সাধারণত ডিপ্রেশন দুই প্রকার যথা ১। ইউনিপোলার ডিপ্রেশন ২। বাইপোলার ডিপ্রেশন
ডিপ্রেশনের গভীরতা কত প্রকার ?
ডিপ্রেশনের গভীরতা তিন প্রকার যথা : ১। হালকা বিষন্নতা ২। মাঝারি ৩। গুরুতর বিষন্নতা
ডিপ্রেশনের কারণ কি কি ?
১। দূর্ঘটনা
২। আর্থিক সমস্যা
৩। প্রিয়জন হারানো
৪। হরমোনের পরিবর্তন
ডিপ্রেশনের লক্ষণসমূহ কি কি ?
১। ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেকে ভালো লাগবে না।
২। নিজেকে সবসময় হতাশগ্রস্থ, বিভ্রান্ত এবং পরাজিত বোধ মনে করবে।
৩। জীবনের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃস্টি হবে।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায় কি কি ?
১। নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখতে হবে।
২। নেশা জাতীয় বস্তু ত্যাগ করা।
৩। পজেটিভ চিন্তা ভাবনা করা।
৪। শরীরচর্চা করা।
৫। ডাক্তারের পরামর্শ ও চিকিৎসা গ্রহন করা।
very good post