চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন এই আর্টিকেল থেকে। চুল পড়া বন্ধে হেয়ার প্যাক, ভিটামিন ও বিভিন্ন প্রকার তেলের ব্যবহার খুবই ফলপ্রসূ। আমাদের মাথায় যে পরিমাণ চুল আছে তার সবগুলো চুলের কিন্তু গ্রোথ হয় না। প্রায় 90% এর মতো চুলের Growth হয় আর বাকি 10% এর মতো চুল রেস্টিং ফেজ বা বিশ্রামে থাকে। এই চুলগুলোই সাধারণত ঝরে পরে যায়। কিন্তু এর জায়গায় নতুন করে আবার চুল গজায়। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টির মতো চুল পড়াটা স্বাভাবিক। আপনার চুল যদি ১০০-১৫০টিরও বেশি ঝরতে থাকে তাহলে তা অস্বাভাবিক চুল পড়া হিসেবে ধরে নিতে হবে। মাথায় হাত দিয়ে যদি দেখেন যে, অস্বাভাবিক পরিমাণ মাথা থেকে চুল উঠে আসে ও মাথায় যদি হাত দিয়ে ফাঁকা ফাঁকা লাগে, তবে বুঝবেন, আপনার মাথার চুল ঝরে পড়ার হার স্বাভাবিক নয়। যেসব কারণে চুল অস্বাভাবিক পরিমাণে পড়তে শুরু করে তা হলোঃ
চুল পড়ার কারণ
★ ভিটামিন এবং পুষ্টির অভাবে আপনার চুল ঝরে পড়ে যেতে পারে।
★ অবসাদ নিরাময়ের জন্য অ্যান্টিডিপ্রেসান্টের মতো ওষুধ সেবন করলে।
★ সূর্য থেকে ক্ষতিকর UV রশ্মি এর জন্য চুল ঝরে পড়ে।
★ হরমোনের পরিবর্তন হলে চুল পড়ে।
★ চুলে বেশি বেশি HIT দেয়া এবং কেমিক্যাল ব্যবহার করলে।
★ মানসিক চাপ থাকলে।
★ খুব শক্ত করে চুল বাঁধলে চুল ঝরে পড়ে।
★ রক্তশূন্যতা হলে।
★ কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে চুল ঝরে পড়ে।
★ থাইরয়েড জনিত সমস্যা হলে।
★ গোসল করে চুল না শুকিয়ে ভেজা থাকা অবস্থায় চুল আঁচড়ানো।
★ কেমোথেরাপি দেয়া হলে।
★ আমিষের অভাব হলে।
চুল পড়ার ঘরোয়া উপায় হিসেবে কার্যকর কিছু টিপস
ঘন,কালো ও শক্ত চুল সবাই প্রত্যাশা করে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে অস্বাভাবিকভাবে চুল পড়া শুরু হলে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তখন খোজাখুজি শুরু হয় কি খেলে বা কি ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে। এই আর্টিকেলে চুল পড়ার ঘরোয়া উপায় গুলোর ব্যবহারে আপনার চুল ঝরে পড়া বন্ধ হবে।
চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম
লেমনগ্রাস অয়েল (তেল)
লেমনগ্রাস এসেনশিয়াল তেল চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে একটি অত্যন্ত উপকারী তেল। চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। চুল ঝরে পড়ার একটি কারণ হল খুশকি। লেমনগ্রাস তেলের সুগন্ধি খুবই প্রশান্তিদায়ক এবং এটি ড্রাই স্কাল্পের সমস্যা দূর করে। নিয়মিত আমরা যে শ্যাম্পু অথবা কন্ডিশনার ব্যবহার করি তার সাথে ৪-৫ ফোঁটা লেমনগ্রাস এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পরা কমে যাবে।
নিম পাতার তেলের ব্যবহার
নিমের ব্যবহার চুলের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীন যুগ থেকেই । এমনকী আয়ুর্বেদি শাস্ত্রেও নিমকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নিম পাতার তৈরি তেল চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নিমে উচ্চমাত্রায় ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। যা মাথার ত্বকের জন্য খুবই প্রয়োজন হয়। নিম পাতার তৈরি তেল চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে । ১৩-১৫টা নিম পাতা নিন। তারপর সেই পাতাগুলো ভালোভাবে বেটে নিয়ে পাতা থেকে নির্যাস বের করে নিন । এই নির্যাস অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে মাথার ত্বকে কাজ করবে। নিমপাতার এই মিশ্রণের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে অলিভ অয়েল, নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। তারপর সেটি সামান্য গরম করে নিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
বার্গামট অয়েল এর ব্যবহার
বার্গামট এসেনশিয়াল অয়েল হচ্ছে কমলা ফলের খোসায় কোষ দ্বারা উৎপন্ন ফুলের বা পারফিউমের মত সুগন্ধিযুক্ত তেল। এই তেল অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান সম্পন্ন ও Scalp এর জন্য উপকারী তেল। এই তেলের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকায় মাথার ত্বক ঠাণ্ডা রাখে। Scal-এ প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশনও চুল পড়ার জন্য দায়ী হতে পারে; যা বার্গামট অয়েল ব্যবহারে Scalp থেকে প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন কমে যায়। ৫-৬ ফোঁটা বার্গামট অয়েলের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। তারপর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
নারকেল তেলঃ
নারকেল তেলে লরিক অ্যাসিড রয়েছে, আরো আছে ফ্যাটি অ্যাসিড ও লাউরিক এসিড যা চুল পড়া কমাতে খুবই কার্যকর। ফ্যাটি এসিড চুলের গোড়ায় প্রবেশ করে এবং প্রোটিনের ক্ষতি কমায়। নারকেল তেল চুলের ফলিকলকে যাবতীয় ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। নারিকেল তেল ব্যবহারে Scalp-এ রক্ত প্রবাহ উন্নত হয় যার ফলে চুলের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে।
সাইডার উড অয়েলঃ
সাইডার উড তেল চুল পড়া রোধে ব্যবহার করা হয়! এই তেল মাথার ত্বকের গ্রন্থিগুলির ভারসাম্য বজায় রাখে, চুলের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেয়। এই তেলে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা মাথার ত্বকের শুষ্ক ও খুশকি সমস্যা দূময়্র করে। সাইডার উড অয়েল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ৫ ফোঁটা সাইডার উড অয়েলের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে Scalp-এ (মাথার ত্বকে) লাগাতে হবে।
টি ট্রি অয়েলে
টি ট্রি অয়েলে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে, যা আপনার চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। Tea Tree তেল মাথার ত্বককে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে । এছাড়াও জ্বালাভাব বা চুলকানি দূর করে Scalp-কে সুরক্ষা করে। দিলে অবশ্যই ব্যবহার করুন টি ট্রি অয়েল। টি ট্রি অয়েল ব্যবহারে চুল ঘন, লম্বা ও আকর্ষনীয় হয়।
অ্যালোভেরাঃ
চুল পড়ার ঘরোয়া উপায়গুলোর মধ্যে অ্যালোভেরার ব্যবহার অন্যতম।
★ অ্যালোভেরা খুশকি কমায়।
★ চুলকে কন্ডিশনার করে
★ মাথার ত্বককে প্রশমিত করে
★ খুশকি কমায়
চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে অ্যালোভেরার সাথে চুলে কন্ডিশনার এবং শ্যাম্পু ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়। মাথার ত্বকে ফ্রি রেডিকেল জীবিত কোষগুলোতে ধবংস করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমিয়ে দেয়। কিন্তু ল্যাভেন্ডারত এসেনশিয়াল তেলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ফ্রি রেডিকেল এর বিরুদ্ধে লাড়াই করে কোষগুলোকে রক্ষা করে। ফলে চুল হয় মজবুত। চুল পড়া কমে যায় এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
গরম তেল ম্যাসেজ
চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী প্রতিকার হচ্ছে গরম তেল দিয়ে আপনার মাথার ত্বকে ম্যাসাজ বা মালিশ করা। নারকেল তেল গরম করে মাথার ত্বকে মালিশ করুন। ফলে চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং মাথার ত্বককে রাখে স্বাস্থ্যকর। চুল পরা বন্ধ হবে।
রোজমেরি তেল
চুল পরা বন্ধ করতে রোজমেরি অয়েল দারুন কার্যকর। ৪ থেকে ৫ ফোঁটা রোজমেরি তেলের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ভালভাবে ব্যবহার করুন। এছাড়াও রোজমেরি অয়েল শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়েও চুলে লাগাতে পারেন। চুল পড়া বন্ধে ঘরোয়া উপায় হিসেবে এই পদ্ধতি বেশ সুফলদায়ক।
লেবু তেল
লেবুর ত্বক থেকে তৈরি হয় লেবু তেল বা লেমন তেল। চুল পড়া বন্ধ করতে লেবু তেল খুব উপকারী। সমপরিমাণ লেবুর রস ও নারিকেল তেলের মিশ্রণ তৈরি করে মাথার ত্বক ও চুলের গোড়ায় গোড়ায় মালিশ করুন। ২০ মিনিট পর শ্যম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এরপর কন্ডিশনার দিয়ে আবার চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ১বার এই ঘরোয়া উপায়টি অনুসরণ করুন। ১ মাস এভাবে লেবু তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে। মাথার ত্বক থাকবে সুস্থ। চুল হবে মজবুত ও আকর্ষনীয়।
You may also like |
চুল পড়া বন্ধ করার প্যাক
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রসে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস। তাই পেঁয়াজের রস চুলকে করে ঘন, কালো ও স্বাস্থ্যকর। ২টি মাঝারি আকারের পেঁয়াজ বা ১টি বড় আকারের পেঁয়াজ ছেঁচে রস বের করে নিন। পেঁয়াজের রস সমস্ত মাথার তালুতে ও চুলের আগা গোড়ায় ভালোভাবে মিশিয়ে মালিশ করুন। ৬০ মিনিট পর মাথার ত্বক, চুল ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও পেঁয়াজ এর রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়েও চুলের মধ্যে ব্যবহার করা যায়। পেঁয়াজের রস চুল পড়া বন্ধ করে, চুলের দ্রুত বৃদ্ধি, চুল পেকে যাওয়া বা সাদা হওয়া থেকে রক্ষা করে। পেঁয়াজ রসের ব্যবহারে মাথাভর্তি ঘন,কালো ও সতেজ চুল পাবেন।
জবা ফুলের ব্যবহার
জবা ফুলের ব্যবহার চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে অন্যতম কার্যকারী উপকারী পদ্ধতি। জবা ফুল ব্যবহারে –
★ চুল পড়া বন্ধ হয়।
★ চুল হয় শক্তিশালি।
★ চুলের শুস্কতা দূর হয়।
★ চুল ঘন হয়।
★ সহজেই চুল ভেঙে পড়ে না।
জবা ফুলের ব্যবহারঃ ৭টি জবা ফুল ও ৭টি জবা ফুলের পাতা একত্রে করে আধা কাপ নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ফুটাতে হবে। তেল ফুটিয়ে নেয়ার পর ঠান্ডা করতে হবে। তারপর সেই জবা ফুলের তেল মাথার ত্বকে ও সমস্ত চুলের মধ্যে মিশিয়ে নিতে হবে। ৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে হবে।
চুল পড়া বন্ধ করতে হেয়ার প্যাক এর ব্যবহার
উপকরণঃ
★ প্যারাস্যুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা হেয়ার অয়েল – ২ টেবিল চামচ
★ মধুঃ এক টেবিল চামচ
★ পেঁয়াজের রসঃ এক টেবিল চামচ
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
১টি পাত্রে প্যারাস্যুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা হেয়ার অয়েল, মধু এবং পেঁয়াজের রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে প্যাকটি তৈরি করুন। তারপর Scalp বা মাথার ত্বকে এবং চুলের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে মালিশ করুন। ২ ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ও চুল ধুয়ে ফেলুন। এরপর কন্ডিশনার দিয়েও চুল ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে একবার প্যাকটি ব্যবহার করে দেখুন আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে ১ মাসের মধ্যেই।
Read More |
চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন
চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সমূহের ক্ষেত্রে ভিটামিনের গুরুত্ব অপরিসীম। চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করা জরুরী। যা আমরা বিভিন্ন খাবার থেকে পাই।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
চুলের যত্নে কার্যকরী ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হলে চুল পড়া বন্ধ হবে ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়বে। তাই নিয়মিত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স জাতীয় খাবার খান। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স জাতীয় খাবার হলোঃ টমেটো, অ্যাভোকাডো, আলমন্ড, ইস্ট, ছোলা, মাংস, সবুজ শাক-সবজি, বাদামের মাখন, পালং শাক, মিষ্টি আলু, কলা, মটরশুঁটি, পনির, দই, মাছ,ডিম ইত্যাদি।
বায়োটিন এর উপকারিতাঃ
চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে বায়োটিনের অনেক উপকারিতা পরীক্ষিত। বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার হলোঃ কলিজা, ডিম, ফুলকপি, বাদাম, কলা, ডাল, বাদাম, গম, আমন্ড এবং সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন পাওয়া যায় ।
চুল পড়া বন্ধ ও চুলের গোড়া শক্ত করার উপায়
সরিষার তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ ও চুলের গোড়া শক্ত হয়। কেননা সরিষার তেলে পাওয়া যায়- ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল, বিটা ক্যারোটিন , জিঙ্ক, ও সেলেনিয়াম। যার ফলে –
★ চুল লম্বা হতে সাহায্য করে।
★ চুল পড়া বন্ধ করে।
★ চুলকে রুক্ষ, শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
★ চুলের গোড়া শক্ত হয়।
তাই নিয়মিত চুল ও মাথার তালুতে ভালোভাবে সরিষার তেল লাগালে উপকার পাবেন।
সরিষার তেল ব্যবহারের নিয়মঃ
চুল পড়া বন্ধ করার উপায় জানাতে সরিষার তেলের কার্যকর ২টি পদ্ধতি বলা হলোঃ
1. সরিষার তেল, ধনিয়া গুঁড়া, লেবুর রস ভালোকরে মিশিয়ে চুলে ও মাথার ত্বকে মাখুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুল ঘন, কালো, মজবুত ও খুশকিমুক্ত হবে।
2. সরিষার তেলের সাথে টক দই মিশিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। এরপর একটি তোয়ালে নিন। তোয়ালেটি গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথার মধ্যে ভালো করে পেচিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট পর্যন্ত। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে পুরো মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার/দুইবার সরিযার তেল এইভাবে ব্যবহার করুন। ফলাফল ভালো পাবেন।
চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে ডাক্তারের পরামর্শ
★ কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধ করুন।
★ শীতে ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
★ মাথায় স্বাভাবিক পানি ব্যবহার করুন; গরম পানি নয়।
★ হিট ব্যবহার বন্ধ করুন।
★ শীতে রোজ রোজ শ্যাম্পু করার প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে দুবার এটি করতে পারেন।
★ খাবার: মৌসুমি ফল,ভিটামিন, শাকসবজি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, খনিজ শীতের সময় বেশি করে খান। ফলে আপনার চুল থাকবে সুরক্ষিত ।
মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে কার্যকর ঔষধ
নাম- ডু গ্রো হেয়ার গ্রোথ স্টিমিউলেটিং অয়েল
উপাদান : গোল্ডেন সিল, হেনা, হোপস ও মাত্রিকারিয়া এক্সট্রাক্ট, লেনোলিন ওয়েল, প্যারাফিন, সুইট আমন্ড অয়েল, সাফ ফ্লাওয়ার সিড অয়েল, মিয়াডোফোম সিড অয়েল, টোকোফেরোল, সুগন্ধি, অফিসিননালিস, শিয়া বাটার এক্সট্রাক্ট, হোয়েট গ্রাম অয়েল, কর্ন অয়েল, ওয়াইল্ড চেরী,
ব্যবহার পদ্ধতি: ডু গ্রো হেয়ার গ্রোথ স্টিমিউলেটিং অয়েল একটি মাল্টি পারপাজ ওয়েল। ব্যবহার করা খুব সহজ। ভেজা চুলেও লাগাতে পারবেন। রোজ ব্যবহার করতে পারবেন। তেলটি হালকা গরম করে মাথার ত্বক ও সমস্ত চুলের আগা গোড়ায় ভালভাবে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। তারপর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে তেলটি গরম না করেও স্বাভাবিক ভাবেও ব্যবহার করতে পারবেন। এই তেল ব্যবহারে-
★ চুলের নির্জীব ভাব দূর হয়।
★ Scalp এর রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
★ চুলের রুক্ষতা, শুষ্কতা দূর করে।
★ এলার্জির সমস্যা দূর করে।
★ চুল পড়া বন্ধ করে।
★ চুল দ্রুত বাড়ে।
★ চুল ঘন ও কালো হয়।
★ চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
Research sources:
https://www.carehospitals.com/bn/
জিজ্ঞাসা ও জবাব
চুল পড়া বন্ধ করতে কি কি খাবার খেতে হবে ?
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স জাতীয় খাবার হলোঃ টমেটো, অ্যাভোকাডো, আলমন্ড, ইস্ট, ছোলা, মাংস, সবুজ শাক-সবজি, বাদামের মাখন, পালং শাক, মিষ্টি আলু, কলা, মটরশুঁটি, পনির, দই, মাছ,ডিম ইত্যাদি।
চুল পড়া বন্ধ করতে কি কি তেল ব্যবহার করতে হবে ?
নিম পাতার তেলের ব্যবহার, লেমনগ্রাস অয়েল, বার্গামট অয়েল, নারকেল তেল, সরিষার তেল, অ্যালোভেরা, রোজমেরি ইত্যাদি।
চুল পড়া বন্ধ করার প্যাক কি কি ?
পিঁয়াজ এর প্যাক এবং জবা ফুলের প্যাক বেশি কার্যকর।
চুল পড়া বন্ধ করতে সরিষার তেল কিভাবে ব্যবহার করতে হবে ?
চুল পড়া বন্ধ করার উপায় জানাতে সরিষার তেলের কার্যকর ২টি পদ্ধতি বলা হলোঃ
1. সরিষার তেল, ধনিয়া গুঁড়া, লেবুর রস ভালোকরে মিশিয়ে চুলে ও মাথার ত্বকে মাখুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুল ঘন, কালো, মজবুত ও খুশকিমুক্ত হবে।
2. সরিষার তেলের সাথে টক দই মিশিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। এরপর একটি তোয়ালে নিন। তোয়ালেটি গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথার মধ্যে ভালো করে পেচিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট পর্যন্ত। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে পুরো মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার/দুইবার সরিযার তেল এইভাবে ব্যবহার করুন। ফলাফল ভালো পাবেন।