“১১তম বিসিএস পরীক্ষার সকল প্রশ্নের নির্ভুল উত্তর ও ব্যাখ্যাসহ সমাধান। বিসিএস পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সংগ্রহ।”
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্ন ও ব্যাখ্যাসহ সমাধান অনুশীলন অত্যন্ত জরুরি।
এই সংগ্রহে ১১তম বিসিএস পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, গণিত, ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর প্রশ্নগুলোর নির্ভুল উত্তর এবং প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা সংযুক্ত করা হয়েছে।
এই ১১তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান সংকলনটি প্রার্থীকে:
প্রশ্নের ধরন বুঝতে,
ব্যাখ্যাসহ শিখতে,
এবং পরীক্ষার আগে দ্রুত রিভিশন দিতে সাহায্য করবে।
প্রত্যেকটি প্রশ্নের নিচে নির্ভুল ব্যাখ্যা যুক্ত করা হয়েছে যেন পাঠক বিষয়টি শুধু মুখস্থ না করে বুঝে নিতে পারে।
1. What is the synonym of ‘Incite’?
(ক) Instigate
(খ) Permit
(গ) Urge
(ঘ) Deceive
Answer: (ক) Instigate
Explanation: “Incite” মানে উসকে দেওয়া বা প্ররোচিত করা। “Instigate” মানে উসকানি দেওয়া, “Permit” মানে অনুমতি দেওয়া, “Urge” মানে উৎসাহ দেওয়া, আর “Deceive” মানে প্রতারণা করা। অর্থ মিলিয়ে দেখলে “Instigate” এর সাথেই “Incite”-এর মিল সবচেয়ে বেশি।
2. What is the antonym of ‘Honorary’?
(ক) Official
(খ) Honorable
(গ) Salaried
(ঘ) Literary
Answer: (গ) Salaried
Explanation: “Honorary” মানে সম্মানসূচক, যেখানে কোনো বেতন বা আর্থিক সুবিধা থাকে না। “Official” মানে সরকারি, “Honorable” মানে সম্মানিত, “Salaried” মানে বেতনভুক্ত, আর “Literary” মানে সাহিত্যসংক্রান্ত। অর্থের দিক থেকে “Honorary”-এর বিপরীত শব্দ হলো “Salaried”।
3. What is the verb of the word ‘Ability’?
(ক) Ableness
(খ) Able
(গ) Ably
(ঘ) Enable
Answer: (ঘ) Enable
Explanation: “Ability” মানে সক্ষমতা বা দক্ষতা। “Ableness” মানে সক্ষমতা, “Able” মানে সক্ষম (বিশেষণ), “Ably” মানে দক্ষতার সঙ্গে (ক্রিয়া বিশেষণ), আর “Enable” মানে সক্ষম করে তোলা (ক্রিয়া)। তাই “Ability” থেকে যে verb তৈরি হয় তা হলো “Enable”।
4. Who is the poet of the ‘Victorian Age’?
(ক) Helen Keller
(খ) Mathew Arnold
(গ) Shakespeare
(ঘ) Robert Browning
Answer: বাতিল করা হয়েছে
Explanation: Victorian Age (1837–1901) ইংরেজি সাহিত্যে এক বিশেষ যুগ, যেখানে Alfred Tennyson, Robert Browning, Matthew Arnold প্রমুখ কবি ছিলেন। প্রদত্ত অপশনগুলো আংশিক সঠিক হলেও প্রশ্নে নির্দিষ্ট একক উত্তর নেই। তাই এই প্রশ্নের উত্তর “বাতিল করা হয়েছে”।
5. Who is the author of ‘For Whom the Bell Tolls’?
(ক) Charles Dickens
(খ) Homer
(গ) Lord Tennyson
(ঘ) Ernest Hemingway
Answer: (ঘ) Ernest Hemingway
Explanation: For Whom the Bell Tolls হলো Ernest Hemingway-এর লেখা একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যেখানে স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। Charles Dickens ছিলেন ভিক্টোরিয়ান ঔপন্যাসিক, Homer প্রাচীন গ্রিক কবি, আর Lord Tennyson ভিক্টোরিয়ান যুগের কবি। তাই সঠিক উত্তর Hemingway।
6. Fill in the blank ‘He has assured me _____ safety.’
(ক) with
(খ) at
(গ) for
(ঘ) of
Answer: (ঘ) of
Explanation: বাক্যের অর্থ “সে আমাকে নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে।” এখানে “assure … of …” একটি নির্দিষ্ট phrase, যার মানে কাউকে কোনো বিষয়ে নিশ্চিত করা। তাই সঠিক preposition হলো “of”। অন্য অপশনগুলো বাক্যের সাথে ব্যাকরণগতভাবে খাপ খায় না।
7. ‘May Allah help you’ What kind of sentence is this?
(ক) Optative
(খ) Imperative
(গ) Assertive
(ঘ) Exclamatory
Answer: (ক) Optative
Explanation: বাক্যের অর্থ “আল্লাহ তোমাকে সাহায্য করুন।” Optative sentence এমন বাক্য যা প্রার্থনা, আশীর্বাদ বা কামনা প্রকাশ করে। Imperative আদেশ/অনুরোধ, Assertive তথ্য বা বক্তব্য, আর Exclamatory হঠাৎ আবেগ প্রকাশ করে। তাই এটি Optative sentence।
8. A rolling stone gathers no moss. What ‘rolling’ is?
(ক) Gerund
(খ) Verbal noun
(গ) Participle
(ঘ) Adjective
Answer: (গ) Participle
Explanation: বাক্যের অর্থ “একটি গড়াতে থাকা পাথরে শ্যাওলা জন্মায় না।” এখানে rolling শব্দটি ক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে বিশেষণ হিসেবে stone কে বর্ণনা করছে। Gerund হলে এটি noun হতো, verbal noun নামবাচক রূপ, আর adjective হলে স্বাধীন হতো। তাই এখানে rolling হলো participle।
9. ‘He has been ill _____ Friday last’ fill in the blank.
(ক) Since
(খ) In
(গ) From
(ঘ) On
Answer: (ক) Since
Explanation: বাক্যের অর্থ “সে গত শুক্রবার থেকে অসুস্থ।” এখানে সময়ের নির্দিষ্ট কোনো বিন্দু (Friday last) বোঝাতে সঠিক preposition হলো since। In মানে ভেতরে, from শুরু বোঝায় কিন্তু perfect tense-এ since ব্যবহার হয়, আর on নির্দিষ্ট দিনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হলেও এখানে খাপ খায় না।
10. Which is the noun form of the word ‘beautiful’?
(ক) Beauteous
(খ) Beauty
(গ) Beautifully
(ঘ) Beautify
Answer: (খ) Beauty
Explanation: “Beautiful” একটি বিশেষণ, যার অর্থ সুন্দর। এর noun form হলো Beauty (সৌন্দর্য)। Beauteous মানে সুন্দর (বিশেষণ), Beautifully হলো ক্রিয়া বিশেষণ, আর Beautify মানে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা (ক্রিয়া)। তাই সঠিক noun form হলো Beauty।
11. ‘Hold water’ means-
(ক) Keep water
(খ) Drink water
(গ) Bear examination
(ঘ) Store water
Answer: (গ) Bear examination
Explanation: “Hold water” একটি idiom, যার আক্ষরিক অর্থ “পানি ধরে রাখা” হলেও প্রকৃত অর্থ ভিন্ন। ইংরেজিতে “an argument does not hold water” মানে সেই যুক্তি পরীক্ষা বা সমালোচনার মুখে টেকে না। তাই “Hold water” বলতে বোঝায় কোনো কিছু সমালোচনা বা যাচাই-বাছাই সহ্য করতে সক্ষম হওয়া, অর্থাৎ Bear examination। অন্য অপশনগুলো কেবল আক্ষরিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যা idiomatic অর্থ প্রকাশ করে না।
11. ‘Hold water’ means-
(ক) Keep water
(খ) Drink water
(গ) Bear examination
(ঘ) Store water
Answer: (গ) Bear examination
Explanation: “Hold water” একটি idiom, যার আক্ষরিক অর্থ “পানি ধরে রাখা” হলেও প্রকৃত অর্থ ভিন্ন। ইংরেজিতে “an argument does not hold water” মানে সেই যুক্তি পরীক্ষা বা সমালোচনার মুখে টেকে না। তাই “Hold water” বলতে বোঝায় কোনো কিছু সমালোচনা বা যাচাই-বাছাই সহ্য করতে সক্ষম হওয়া, অর্থাৎ Bear examination। অন্য অপশনগুলো কেবল আক্ষরিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, যা idiomatic অর্থ প্রকাশ করে না।
12. ‘Out and Out’ means-
(ক) Not at all
(খ) Thoroughly
(গ) To be last
(ঘ) Man of outside
Answer: (খ) Thoroughly
Explanation: “Out and Out” একটি idiom, যার অর্থ সম্পূর্ণভাবে বা পুরোপুরি। উদাহরণ: He is an out and out gentleman মানে “তিনি পুরোপুরি ভদ্রলোক।” এখানে Thoroughly মানে সম্পূর্ণভাবে, যা সঠিক অর্থ প্রকাশ করছে। অন্যদিকে, “Not at all” মানে একেবারেই না, “To be last” মানে শেষ হওয়া, আর “Man of outside” অর্থহীন। তাই সঠিক উত্তর হলো Thoroughly।
13. Choose the correct sentence-
(ক) Rich is not always happy
(খ) The rich is not always happy
(গ) The rich is not happy always
(ঘ) The rich are not always happy
Answer: (ঘ) The rich are not always happy
Explanation: ইংরেজিতে “the rich” বলতে ধনী মানুষদের সমষ্টিকে বোঝানো হয়। এটি plural sense বহন করে, তাই এর সাথে plural verb (“are”) ব্যবহার করতে হয়। অপশন (ক)-তে “Rich” বিশেষণ হিসেবে একা ব্যবহার করা ভুল। (খ)-তে singular verb “is” ব্যবহার হয়েছে, যা ভুল, কারণ subject plural অর্থে। (গ)-এর বাক্য গঠন অস্বাভাবিক। সঠিক ও প্রমিত বাক্য হলো “The rich are not always happy.”
14. Choose the correct sentence –
(ক) He had been hunged for murder
(খ) He has been hunged for murder
(গ) He was hanged for murder
(ঘ) He was hunged of murder
Answer: (গ) He was hanged for murder
Explanation: ইংরেজিতে “hang” শব্দের দুটি আলাদা past form আছে।
যখন কোনো কিছু ঝুলিয়ে রাখার অর্থে ব্যবহার হয় তখন past tense হয় hung।
কিন্তু শাস্তি হিসেবে ফাঁসির অর্থে ব্যবহার হলে past tense হয় hanged।
প্রশ্নের বাক্যে “for murder” দেওয়া আছে, অর্থাৎ হত্যা অপরাধে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। তাই সঠিক ব্যবহার হবে hanged। অন্যদিকে (ক), (খ), (ঘ)-তে ভুলভাবে hunged ব্যবহার করা হয়েছে, যা ইংরেজিতে কোনো শব্দ নয়। তাই সঠিক উত্তর হলো He was hanged for murder.
15. ‘Syntax’ means –
(ক) Manner of speech
(খ) Sentence building
(গ) Supplementary tax
(ঘ) Synchronizing act
Answer: (খ) Sentence building
Explanation: “Syntax” হলো ব্যাকরণের একটি শাখা, যেখানে শব্দগুলো কীভাবে মিলিয়ে সঠিক বাক্য গঠন করা যায় তা বোঝানো হয়। সহজভাবে বললে, এটি sentence building বা বাক্য গঠন প্রক্রিয়া। (ক) Manner of speech মানে কথা বলার ধরন, (গ) Supplementary tax করের ধরন, আর (ঘ) Synchronizing act মানে একসাথে ঘটানো কোনো কাজ। এগুলোর সাথে syntax-এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই সঠিক উত্তর হলো Sentence building।
16. ‘Justice delayed is justice denied’ was stated by –
(ক) Disraeli
(খ) Emerson
(গ) Gladstone
(ঘ) Shakespeare
Answer: (গ) Gladstone
Explanation: বিখ্যাত উক্তি “Justice delayed is justice denied” মানে হলো ন্যায়বিচার দিতে দেরি হলে সেটাই আসলে ন্যায়বিচার অস্বীকার করার সমান। এই উক্তিটি করেছেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রনায়ক William Ewart Gladstone। Disraeli-ও ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু তিনি এই উক্তি দেননি। Emerson একজন আমেরিকান প্রাবন্ধিক, আর Shakespeare নাট্যকার হলেও এই উক্তি তাঁর নয়। তাই সঠিক উত্তর হলো Gladstone।
17. ‘বৈরাগ্য সাধনে ____ সে আমার নয়।’ শূন্যস্থান পূরণ করুন।
(ক) আনন্দ
(খ) মুক্তি
(গ) বিশ্বাস
(ঘ) আশ্বাস
Answer: (খ) মুক্তি
Explanation: এখানে বাক্যটি কবিত্বময় ধাঁচে লেখা হয়েছে। “বৈরাগ্য সাধন” মানে হলো সংসার ত্যাগ করে আধ্যাত্মিক মুক্তির সন্ধান করা। বৈরাগ্য সাধনের মূল উদ্দেশ্য হলো মুক্তি বা পরিত্রাণ লাভ করা। তাই শূন্যস্থানে সঠিক শব্দ হবে মুক্তি। অন্য অপশনগুলো (আনন্দ, বিশ্বাস, আশ্বাস) অর্থের দিক থেকে বৈরাগ্য সাধনের মূল উদ্দেশ্যের সাথে খাপ খায় না।
18. সমাস ভাষাকে –
(ক) সংক্ষেপ করে
(খ) বিস্তৃত করে
(গ) ভাষারূপ ক্ষুণ্ন করে
(ঘ) অর্থবোধক করে
Answer: (ক) সংক্ষেপ করে
Explanation: সমাস হলো ব্যাকরণের একটি বিশেষ প্রক্রিয়া যেখানে একাধিক শব্দ মিলে একটি নতুন সংক্ষিপ্ত শব্দ বা পদ তৈরি হয়। উদাহরণ: রাজা + পুরুষ → রাজপুরুষ, পিতার + দেশ → পিতৃভূমি। এখানে আলাদা আলাদা শব্দ বাদ দিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে অর্থ প্রকাশ করা হয়। তাই সমাস ভাষাকে সংক্ষেপ করে। অন্য অপশনগুলো (বিস্তৃত করে, ক্ষুণ্ন করে, অর্থবোধক করে) সমাসের মূল কার্যকারিতা বোঝায় না।
19. ‘সূর্য’ এর প্রতিশব্দ –
(ক) সুধাংশু
(খ) শশাঙ্ক
(গ) বিধু
(ঘ) আদিত্য
Answer: (ঘ) আদিত্য
Explanation: সংস্কৃত ও বাংলায় সূর্যের একাধিক প্রতিশব্দ আছে। তার মধ্যে “আদিত্য” সবচেয়ে প্রচলিত, যা সূর্যের আরেকটি নাম। (ক) সুধাংশু, (খ) শশাঙ্ক, এবং (গ) বিধু — এরা সকলেই চাঁদ বা চন্দ্রের প্রতিশব্দ। তাই সূর্যের প্রতিশব্দ হিসেবে সঠিক উত্তর হলো আদিত্য।
20. ‘অর্ধচন্দ্র’ এর অর্থ –
(ক) গলা ধাক্কা দেয়া
(খ) অমাবস্যা
(গ) দ্বিতীয়ত
(ঘ) কাস্তে
Answer: (ক) গলা ধাক্কা দেয়া
Explanation: বাংলায় “অর্ধচন্দ্র” শব্দটি আক্ষরিকভাবে “অর্ধেক চাঁদ” বোঝালেও এর একটি প্রবাদপ্রতীম অর্থ আছে। লোকভাষায় “অর্ধচন্দ্র দেওয়া” বলতে বোঝায় কাউকে গলা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া বা বের করে দেওয়া। বাকী অপশনগুলো — (খ) অমাবস্যা, (গ) দ্বিতীয়ত, (ঘ) কাস্তে — এই প্রবাদটির অর্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই সঠিক উত্তর হলো গলা ধাক্কা দেয়া।
21. কোনটি শুদ্ধ?
(ক) সৌজন্নতা
(খ) সৌজন্যতা
(গ) সৌজনতা
(ঘ) সৌজন্য
Answer: (ঘ) সৌজন্য
Explanation: শুদ্ধ শব্দ হলো “সৌজন্য”, যার অর্থ ভদ্রতা, নম্রতা বা শিষ্টাচার। অন্য অপশনগুলো— (ক) সৌজন্নতা, (খ) সৌজন্যতা, (গ) সৌজনতা— এগুলো ভুল রূপ এবং প্রমিত বাংলায় ব্যবহারযোগ্য নয়। তাই সঠিক উত্তর হলো সৌজন্য।
22. বেগম রোকেয়ার রচনা কোনটি?
(ক) ভাষা ও সাহিত্য
(খ) আয়না
(গ) লালসালু
(ঘ) অবরোধবাসিনী
Answer: (ঘ) অবরোধবাসিনী
Explanation: বেগম রোকেয়া ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক ও সাহিত্যিক, যিনি নারীশিক্ষা ও নারী মুক্তির পক্ষে কাজ করেছেন। তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য রচনা হলো “অবরোধবাসিনী”, যেখানে তিনি পর্দা প্রথার অসুবিধা ও নারীর বন্দিত্বের কুফল তুলে ধরেছেন। (ক) ভাষা ও সাহিত্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, (খ) আয়না কাজী নজরুল ইসলামের, আর (গ) লালসালু সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর রচনা। তাই সঠিক উত্তর হলো অবরোধবাসিনী।
23. বাংলা গীতি কবিতায় ভোরের পাখি কে?
(ক) বিহারীলাল চক্রবর্তী
(খ) প্যারীচাঁদ মিত্র
(গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
(ঘ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
Answer: (ক) বিহারীলাল চক্রবর্তী
Explanation: বাংলা সাহিত্যে বিহারীলাল চক্রবর্তী-কে “বাংলা গীতি কবিতার ভোরের পাখি” বলা হয়। তাঁর কবিতায় দেশপ্রেম, মানবপ্রেম ও প্রকৃতির রূপ বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে। (খ) প্যারীচাঁদ মিত্র ছিলেন প্রাবন্ধিক ও উপন্যাসিক, (গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক, আর (ঘ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ঔপন্যাসিক। তাই গীতি কবিতার ভোরের পাখি হিসেবে সঠিক উত্তর হলো বিহারীলাল চক্রবর্তী।
24. কোনটি শুদ্ধ বাক্য?
(ক) একটা গোপনীয় কথা বলি
(খ) একটি গোপন কথা বলি
(গ) একটি গোপণ কথা বলি
(ঘ) একটি গুপ্ত কথা বলি
Answer: (ক) একটা গোপনীয় কথা বলি
Explanation: প্রমিত বাংলায় “গোপনীয়” মানে হলো এমন কিছু যা অন্যের কাছে প্রকাশ করা উচিত নয়, অর্থাৎ secret বা confidential। তাই “একটা গোপনীয় কথা বলি” বাক্যটি শুদ্ধ ও প্রমিত। (খ)-এর “গোপন কথা” কথ্য ভাষায় ব্যবহার হলেও পরীক্ষামূলক দৃষ্টিকোণে কম গ্রহণযোগ্য। (গ)-এর “গোপণ” শব্দটি ভুল রূপ। (ঘ)-এর “গুপ্ত কথা” অর্থগতভাবে সম্ভব হলেও প্রচলিত ও প্রমিত ব্যবহার নয়। তাই শুদ্ধ বাক্য হলো একটা গোপনীয় কথা বলি।
25. ‘শিষ্টাচার’ – এর সমার্থক শব্দ কোনটি?
(ক) নিষ্ঠা
(খ) সদাচার
(গ) সততা
(ঘ) সংযম
Answer: (খ) সদাচার
Explanation: “শিষ্টাচার” মানে হলো ভদ্রতা, নম্রতা বা ভদ্র ব্যবহারের নিয়ম। এর সমার্থক শব্দ হলো “সদাচার”, যার অর্থও শোভন আচরণ বা ভদ্র ব্যবহার। (ক) নিষ্ঠা মানে একাগ্রতা বা মনোযোগ, (গ) সততা মানে সত্যবাদিতা, আর (ঘ) সংযম মানে আত্মসংবরণ বা নিয়ন্ত্রণ। এগুলো শিষ্টাচারের সরাসরি সমার্থক নয়। তাই সঠিক উত্তর হলো সদাচার।
26. ‘সংশয়’ – এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
(ক) নির্ভয়
(খ) বিস্ময়
(গ) প্রত্যয়
(ঘ) দ্বিধা
Answer: (গ) প্রত্যয়
Explanation: “সংশয়” মানে হলো সন্দেহ, অনিশ্চয়তা বা দ্বিধা। এর বিপরীত হলো প্রত্যয়, যার অর্থ বিশ্বাস, নিশ্চিত ধারণা বা আস্থা। (ক) নির্ভয় মানে ভয়হীন, (খ) বিস্ময় মানে আশ্চর্য হওয়া, আর (ঘ) দ্বিধা মানে দ্বন্দ্ব বা অনিশ্চয়তা— যা সংশয়ের কাছাকাছি অর্থ বহন করে। তাই সঠিক বিপরীতার্থক শব্দ হলো প্রত্যয়।
27. ‘ক্ষমার যোগ্য’ – এর বাক্য সংকোচন-
(ক) ক্ষমার্হ
(খ) ক্ষমাপ্রার্থী
(গ) ক্ষমা
(ঘ) ক্ষমাপ্রদ
Answer: (ক) ক্ষমার্হ
Explanation: বাংলা ভাষায় বাক্য সংকোচন হলো কয়েকটি শব্দ মিলিয়ে একক শব্দ তৈরি করার প্রক্রিয়া। “ক্ষমার যোগ্য” এর সংকুচিত রূপ হলো “ক্ষমার্হ”। এখানে “অর্হ” উপসর্গের অর্থ যোগ্য বা প্রাপ্য। (খ) ক্ষমাপ্রার্থী মানে ক্ষমা চাইছে যে, (গ) ক্ষমা মানে দয়া বা pardon, আর (ঘ) ক্ষমাপ্রদ মানে ক্ষমা প্রদানকারী। তাই সঠিক সংকোচন হলো ক্ষমার্হ।
28. __ সেপ্টেম্বর বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস। শূন্যস্থান পূরণ করুন।
(ক) ৮
(খ) ৬
(গ) ১০
(ঘ) ৫
Answer: (ক) ৮
Explanation: প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস (International Literacy Day) পালিত হয়। UNESCO 1966 সালে এই দিবসটি ঘোষণা করে, যাতে সবার মধ্যে শিক্ষা ও সাক্ষরতার গুরুত্ব ছড়িয়ে দেওয়া যায়। অন্য অপশনগুলো (৬, ১০, ৫ সেপ্টেম্বর) এ দিবসের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তাই সঠিক উত্তর হলো ৮ সেপ্টেম্বর।
29. ‘মোস্তফা চরিত’ গ্রন্থের রচয়িতা-
(ক) মুহম্মদ আব্দুল হাই
(খ) মোঃ বরকতুল্লাহ
(গ) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
(ঘ) মাওলানা আকরম খাঁ
Answer: (ঘ) মাওলানা আকরম খাঁ
Explanation: বাংলা সাহিত্যে ইসলামী ভাবধারার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হলো ‘মোস্তফা চরিত’, যা রচনা করেছেন মাওলানা আকরম খাঁ। এই গ্রন্থে তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও আদর্শকে তুলে ধরেছেন। (ক) মুহম্মদ আব্দুল হাই ছিলেন প্রখ্যাত ভাষাবিজ্ঞানী, (খ) মোঃ বরকতুল্লাহ ইসলামী চিন্তাবিদ ও লেখক, আর (গ) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন ভাষাতত্ত্ববিদ ও গবেষক। তবে ‘মোস্তফা চরিত’-এর রচয়িতা শুধুমাত্র মাওলানা আকরম খাঁ।
30. ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ গ্রন্থের রচয়িতা-
(ক) মুহম্মদ আব্দুল হাই
(খ) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
(গ) আবুল মনসুর আহ্মদ
(ঘ) আতাউর রহমান
Answer: (গ) আবুল মনসুর আহ্মদ
Explanation: বিখ্যাত রাজনৈতিক আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ লিখেছেন আবুল মনসুর আহ্মদ। তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। এই গ্রন্থে তিনি নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেছেন। অন্য অপশনগুলো (মুহম্মদ আব্দুল হাই, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, আতাউর রহমান) এই গ্রন্থের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তাই সঠিক উত্তর হলো আবুল মনসুর আহ্মদ।
31. পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক-
(ক) ভরতচন্দ্র রায়
(খ) দৌলত কাজী
(গ) সৈয়দ হামজা
(ঘ) আব্দুল হাকিম
Answer: (গ) সৈয়দ হামজা
Explanation: বাংলা সাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য ধারা হলো পুঁথি সাহিত্য, যা মূলত লৌকিক কাব্যরূপে গ্রামীণ সমাজে প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ইসলামি প্রভাবও বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক হিসেবে পরিচিত সৈয়দ হামজা। তিনি মুসলিম সমাজে পুঁথি রচনার পথিকৃৎ ছিলেন। (ক) ভরতচন্দ্র রায় ছিলেন গীতিকবি, (খ) দৌলত কাজী আরকান দরবারের কবি, আর (ঘ) আব্দুল হাকিম ছিলেন মুসলিম কবি যিনি বাংলা ভাষার পক্ষে সোচ্চার হয়েছিলেন। কিন্তু পুঁথি সাহিত্যের প্রথম দিকের লেখক ছিলেন সৈয়দ হামজা।
32. ‘চাচা কাহিনীর’ লেখক-
(ক) সৈয়দ শামসুল হক
(খ) সৈয়দ মুজতবা আলী
(গ) শওকত ওসমান
(ঘ) ফররুখ আহমেদ
Answer: (খ) সৈয়দ মুজতবা আলী
Explanation: বাংলা সাহিত্যে রম্যরচনার অন্যতম উজ্জ্বল নাম সৈয়দ মুজতবা আলী। তাঁর লেখা ‘চাচা কাহিনী’ একটি জনপ্রিয় রম্যরচনা, যেখানে হাস্যরসের মাধ্যমে সামাজিক ব্যঙ্গও ফুটে উঠেছে। (ক) সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার; (গ) শওকত ওসমান ছিলেন ঔপন্যাসিক; আর (ঘ) ফররুখ আহমেদ মূলত ইসলামী ভাবধারার কবি। তাই সঠিক উত্তর হলো সৈয়দ মুজতবা আলী।
33. বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে বলে-
(ক) শব্দ
(খ) কারক
(গ) পদ
(ঘ) ক্রিয়াপদ
Answer: (গ) পদ
Explanation: বাংলা ব্যাকরণে যখন কোনো শব্দ ধাতুর সঙ্গে বা শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়, তখন সেটি পদ হয়ে যায়। পদ হলো বাক্যে ব্যবহারযোগ্য রূপ। উদাহরণ: ছেলে + রা = ছেলেরা, খা + ই = খাই। (ক) শব্দ হলো মূল রূপ, (খ) কারক হলো পদ ও ক্রিয়ার সম্পর্ক নির্দেশক, আর (ঘ) ক্রিয়াপদ হলো পদের একটি বিশেষ ধরন। তাই বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে বলা হয় পদ।
34. ‘রাজলক্ষ্মী’ চরিত্রের স্রষ্টা ঔপন্যাসিক-
(ক) বঙ্কিমচন্দ্র
(খ) শরৎচন্দ্র
(গ) তারাশংকর
(ঘ) নজরুল ইসলাম
Answer: (খ) শরৎচন্দ্র
Explanation: বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর অমর উপন্যাস ‘শ্রীকান্ত’-এ রাজলক্ষ্মী নামের এক স্মরণীয় চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। এই চরিত্রটি নারীর প্রেম, ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে বাংলা উপন্যাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। (ক) বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন ঐতিহাসিক ও সামাজিক উপন্যাসের পথিকৃৎ, (গ) তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামীণ জীবনের কাহিনি লিখেছেন, আর (ঘ) কাজী নজরুল ইসলাম মূলত কবি ও সংগীত রচয়িতা। তাই সঠিক উত্তর হলো শরৎচন্দ্র।
35. চালের মূল্য ১২% কমে যাওয়ায় ৬,০০০ টাকায় পূর্বাপেক্ষা ১ কুইন্টাল চাল বেশি পাওয়া যায়। ১ কুইন্টাল চালের বর্তমান মূল্য কত?
(ক) ৭৫০ টাকা
(খ) ৭০০ টাকা
(গ) ৭২০ টাকা
(ঘ) ৭৫ টাকা
Answer: (গ) ৭২০ টাকা
Explanation: ধরি, পূর্বে ১ কুইন্টাল চালের মূল্য ছিল x টাকা।
তাহলে চালের মূল্য ১২% কমার পর বর্তমান মূল্য = 0.88x টাকা।
এখন ৬,০০০ টাকায় পাওয়া চালের পরিমাণের পার্থক্য ১ কুইন্টাল।
অর্থাৎ,
\frac{6000}{0.88x} – \frac{6000}{x} = 1
⇒
⇒
⇒
⇒
⇒
অতএব, বর্তমান মূল্য = 0.88x = টাকা।
তাই সঠিক উত্তর হলো ৭২০ টাকা ✅
প্রশ্ন ৩৬. একটি আয়তাকার ক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য প্রস্থের ৩ গুণ। দৈর্ঘ্য ৪৮ মিটার হলে, ক্ষেত্রটির পরিসীমা কত?
ক) ১২৮ মিটার
খ) ১৪৪ মিটার
গ) ৬৪ মিটার
ঘ) ৯৬ মিটার
সঠিক উত্তর: ক) ১২৮ মিটার ✅
ব্যাখ্যা:
ধরি, প্রস্থ = মিটার।
তাহলে দৈর্ঘ্য = ।
প্রশ্নে দৈর্ঘ্য দেওয়া আছে 48 মিটার।
অতএব, ।
অতএব, প্রস্থ = 16 মিটার এবং দৈর্ঘ্য = 48 মিটার।
আয়তক্ষেত্রের পরিসীমা সূত্র:
P = 2 \times (দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)
P = 2 \times (48 + 16) = 2 \times 64 = 128 \text{ মিটার}
👉 তাই সঠিক উত্তর হলো ১২৮ মিটার।
—
প্রশ্ন ৩৭. ক ঘণ্টায় ১০ কি.মি. এবং খ ঘণ্টায় ১৫ কি.মি. বেগে একই স্থান থেকে রাজশাহীর পথে রওয়ানা হলো। ক সকাল ১০:১০ মিনিটে এবং খ সকাল ৯:৪০ মিনিটে রাজশাহী পৌঁছল। রওয়ানা হওয়ার স্থান থেকে রাজশাহীর দূরত্ব কত কি.মি.?
ক) ২০ কিমি
খ) ২৫ কিমি
গ) ১৫ কিমি
ঘ) ২৮ কিমি
—
✅ সঠিক উত্তর: (গ) ১৫ কিমি
ব্যাখ্যা:
দুইজন একই স্থান থেকে রওনা হয়।
খ (১৫ কিমি/ঘণ্টা) আগে পৌঁছেছে সকাল ৯:৪০-এ।
ক (১০ কিমি/ঘণ্টা) পরে পৌঁছেছে সকাল ১০:১০-এ।
সময় পার্থক্য = ১০:১০ – ৯:৪০ = ৩০ মিনিট = ০.৫ ঘণ্টা।
ধরি, খ রাজশাহী পৌঁছাতে সময় নিয়েছে = ঘণ্টা।
তাহলে ক সময় নিয়েছে = ঘণ্টা।
দূরত্ব সমান হবে—
d = 15t
d = 10(t + 0.5)
এখন,
15t = 10(t+0.5) \\
15t = 10t + 5 \\
5t = 5 \Rightarrow t = 1
অতএব,
d = 15 \times 1 = 15 \text{ কিমি}
👉 তাই রাজশাহীর দূরত্ব হলো ১৫ কিমি।
—
প্রশ্ন: 38
৩৮. ১৯, ৩৩, ৫১, ৭৩, ___ পরবর্তী সংখ্যাটি কত?
ক) ৮৫
খ) ১২১
গ) ৯৯
ঘ) ৯৮
—
✅ সঠিক উত্তর: (গ) ৯৯
ব্যাখ্যা:
দেওয়া সংখ্যাগুলোর মধ্যে পার্থক্য বের করি—
অর্থাৎ পার্থক্যগুলো হচ্ছে: 14, 18, 22 → প্রতি ধাপে ৪ করে বাড়ছে।
তাহলে পরবর্তী পার্থক্য হবে: ।
সুতরাং,
73 + 26 = 99
👉 তাই সঠিক উত্তর হলো ৯৯। ✅
—
প্রশ্ন ৩৯. একটি ক্রিকেট দলে যতজন স্ট্যাম্প আউট হলো তার দেড়গুণ কট আউট হলো এবং মোট উইকেটের অর্ধেক বোল্ড আউট হলো। এই দলের কতজন কট আউট হলো?
ক) ৪ জন
খ) ৩ জন
গ) ২ জন
ঘ) ৫ জন
—
✅ সঠিক উত্তর: (খ) ৩ জন
ব্যাখ্যা:
ক্রিকেট দলে মোট উইকেট পড়ে ১০টি।
ধরা যাক—
স্ট্যাম্প আউট হলো = x জন
তাহলে কট আউট হলো = 1.5x জন
এবং বোল্ড আউট হলো = মোট উইকেটের অর্ধেক = 5 জন
অতএব, সমীকরণ দাঁড়ায়—
x + 1.5x + 5 = 10
2.5x + 5 = 10
2.5x = 5
x = 2
তাহলে, কট আউট = জন।
👉 তাই সঠিক উত্তর হলো ৩ জন। ✅
—
প্রশ্ন ৪০. একটি বন্দুকের গুলি প্রতি সেকেন্ডে ১,৫৪০ ফুট গতিবেগে লক্ষ্যভেদ করে। এক ব্যক্তি বন্দুক ছুঁড়বার ৩ সেকেন্ড পরে লক্ষ্যভেদের শব্দ শুনতে পায়। শব্দের গতি প্রতি সেকেন্ডে ১১০০ ফুট। লক্ষ্য বস্তুর দূরত্ব কত?
ক) ২০২৫ ফুট
খ) ১৯২৫ ফুট
গ) ১৯৭৫ ফুট
ঘ) ১৮৭৫ ফুট
—
✅ সঠিক উত্তর: (খ) ১৯২৫ ফুট
ব্যাখ্যা:
ধরা যাক লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব = ফুট।
গুলি যেতে সময় লাগবে: সেকেন্ড।
লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের পর শব্দ ফিরে আসতে সময় লাগবে: সেকেন্ড।
অতএব, মোট সময় =
\frac{d}{1540} + \frac{d}{1100} = 3
এখন ল.সা.গু নিয়ে ভগ্নাংশ সরল করি—
\frac{d}{1540} + \frac{d}{1100} = \frac{1100d + 1540d}{1540 \times 1100}
= \frac{2640d}{1540 \times 1100}
হিসাব করি:
1540 \times 1100 = 1694000
\frac{2640d}{1694000} = 3
2640d = 3 \times 1694000
2640d = 5082000
d = \frac{5082000}{2640} = 1925
👉 সুতরাং লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব = ১৯২৫ ফুট ✅
নিচে প্রশ্নটি ফরম্যাটসহ সঠিকভাবে সাজিয়ে দেওয়া হলো:
—
41. a – {a – (a + 1)} = কত?
(ক) a – 1
(খ) 1
(গ) a
(ঘ) a + 1
Answer: (ঘ) a + 1
ব্যাখ্যা:
চলুন ধাপে ধাপে সমাধান করি:
👉 দেওয়া আছে:
a – {a – (a + 1)}
প্রথমে ভিতরের বন্ধনীতে হিসাব করি:
(a + 1)
তারপর,
a – (a + 1) = -1
এখন,
a – {a – (a + 1)} = a – [a – (a + 1)] = a – [-1] = a + 1
✅ তাই সঠিক উত্তর: a + 1
প্রশ্ন ৪২. একটি পাত্রে দুধ ও পানির অনুপাত ৫ঃ২। যদি পানি অপেক্ষা দুধের পরিমাণ ৬ লিটার বেশি হয় তবে পানির পরিমাণ কত?
ক) ১৪ লিটার
খ) ৬ লিটার
গ) ১০ লিটার
ঘ) ৪ লিটার
—
✅ সঠিক উত্তর: (ঘ) ৪ লিটার
ব্যাখ্যা:
ধরা যাক অনুপাতের গুণনীয়ক = ।
তাহলে,
দুধ = লিটার
পানি = লিটার
শর্ত অনুসারে,
5x – 2x = 6
3x = 6
x = 2
তাহলে পানির পরিমাণ:
2x = 2 \times 2 = 4 \text{ লিটার}
👉 তাই পানির পরিমাণ হবে ৪ লিটার ✅
—
প্রশ্ন ৪৩. ক-এর বেতন খ-এর বেতন অপেক্ষা শতকরা ৩৫ টাকা বেশি হলে খ-এর বেতন ক-এর বেতন অপেক্ষা কত টাকা কম?
ক) ২৭ টাকা
খ) ২৫.৯৩ টাকা
গ) ৪০ টাকা
ঘ) ২৫.৫০ টাকা
—
✅ সঠিক উত্তর: (খ) ২৫.৯৩ টাকা
ব্যাখ্যা:
ধরা যাক খ-এর বেতন = ১০০ টাকা।
তাহলে ক-এর বেতন হবে = টাকা।
এখন, খ-এর বেতন ক-এর বেতনের কত শতাংশ কম তা বের করতে হবে—
\text{শতকরা কম} = \frac{135 – 100}{135} \times 100
= \frac{35}{135} \times 100
= 25.93\% (প্রায়)
অতএব, খ-এর বেতন ক-এর বেতন অপেক্ষা ২৫.৯৩ টাকা কম। ✅
—
প্রশ্ন ৪৪. ১০টি সংখ্যার যোগফল ৪৬২। এদের প্রথম ৪টির সংখ্যার গড় ৫২ এবং শেষের ৫টির সংখ্যার গড় ৩৮। পঞ্চম সংখ্যাটি কত?
(ক) ৬০
(খ) ৬৪
(গ) ৬২
(ঘ) ৫০
Answer: (খ) ৬৪
Explanation:
প্রথম ৪টির গড় ৫২ ⇒ প্রথম ৪টির যোগ = .
শেষের ৫টির গড় ৩৮ ⇒ শেষ ৫টির যোগ = .
মোট ১০টির যোগফল = 462।
পঞ্চমটি = মোট − (প্রথম ৪টির যোগ + শেষ ৫টির যোগ)
= 462 – (208 + 190) = 462 – 398 = 64
অতএব পঞ্চম সংখ্যাটি ৬৪। ✅
প্রশ্ন ৪৫. এক মিটার সমান কত ইঞ্চি?
(ক) ৩৭.৩৯ ইঞ্চি
(খ) ৩৯.৩৭ ইঞ্চি
(গ) ৩৯.৪৭ ইঞ্চি
(ঘ) ৩৮.৫৫ ইঞ্চি
—
✅ সঠিক উত্তর: (খ) ৩৯.৩৭ ইঞ্চি
ব্যাখ্যা:
১ মিটার = ১০০ সেন্টিমিটার।
আবার, ১ ইঞ্চি = ২.৫৪ সেন্টিমিটার।
তাহলে,
1 \text{ মিটার} = \frac{100}{2.54} \text{ ইঞ্চি}
= 39.37 \text{ ইঞ্চি (প্রায়)}
👉 তাই সঠিক উত্তর হলো ৩৯.৩৭ ইঞ্চি ✅
—
প্রশ্ন ৪৬. একটি বৃত্তের ব্যাসার্ধকে যদি থেকে বৃদ্ধি করে করা হয়, তবে তার ক্ষেত্রফল দ্বিগুণ হয়। -এর মান কত?
(ক)
(খ)
(গ)
(ঘ)
—
✅ সঠিক উত্তর: (ক)
ব্যাখ্যা:
প্রথম ক্ষেত্রফল:
A_1 = \pi r^2
নতুন ব্যাসার্ধ হলে ক্ষেত্রফল:
A_2 = \pi (r+n)^2
প্রশ্নে বলা আছে, ক্ষেত্রফল দ্বিগুণ:
\pi (r+n)^2 = 2\pi r^2
(r+n)^2 = 2r^2
r^2 + 2rn + n^2 = 2r^2
2rn + n^2 = r^2
r^2 – 2rn – n^2 = 0
এটি একটি quadratic সমীকরণ:
r^2 – 2nr – n^2 = 0
Quadratic formula ব্যবহার করলে:
r = \frac{2n \pm \sqrt{(2n)^2 + 4n^2}}{2}
= \frac{2n \pm \sqrt{4n^2 + 4n^2}}{2}
= \frac{2n \pm \sqrt{8n^2}}{2}
= \frac{2n \pm 2\sqrt{2}n}{2}
= n(1 \pm \sqrt{2})
কিন্তু ধনাত্মক, তাই ।
এখন একে অন্যভাবে লিখতে পারি—
r = \frac{n}{\sqrt{2}-1} \quad \text{(কারণ \(\frac{1}{\sqrt{2}-1} = \sqrt{2}+1\))}
👉 তাই সঠিক উত্তর হলো (ক) ✅
—
47. (15 ÷ 15 × 15) / (15 ÷ 15 এর 15) = কত?
(ক) 122
(খ) 225
(গ) 1225
(ঘ) 125
Answer: (খ) 225
✅ এখন যদি প্রশ্নটা হয়:
(15 ÷ 15 × 15) / (15 ÷ 15^2)
তাহলে:
উপর: 1 × 15 = 15
নিচ: 15 ÷ 225 = 1/15
তাহলে:
15 ÷ (1/15) = 15 × 15 = 225 ✅
তাই ধরে নেওয়া যাচ্ছে প্রশ্নটি এভাবে বোঝানো হয়েছে:
(15 ÷ 15 × 15) ÷ (15 ÷ 15²)
👉 অর্থাৎ:
15 / 15 × 15 = 15
15 / 15² = 1 / 15
15 ÷ (1/15) = 225
✅ Final Answer: (খ) 225
প্রশ্ন ৪৮.
(x + 3)(x – 3) \text{ কে } (x^2 – 6) \text{ দ্বারা ভাগ করলে ভাগশেষ কত?}
ক) -6
খ) 3
গ) 6
ঘ) -3
—
সমাধান:
Step–1:
(x + 3)(x – 3) = x^2 – 9
Step–2:
এবার কে দ্বারা ভাগ করতে হবে।
x^2 – 9 = (x^2 – 6) – 3
Step–3:
অর্থাৎ ভাগশেষ = ।
—
✅ সঠিক উত্তর: ঘ) -3
—
আচ্ছা, এবার প্রশ্ন ৪৯ দেখি—
—
প্রশ্ন ৪৯. a^3 – b^3 = 513 \quad \text{এবং} \quad a – b = 3
ক) 54
খ) 35
গ) 45
ঘ) 55
—
সমাধান:
Step–1:
আমরা জানি,
a^3 – b^3 = (a – b)(a^2 + ab + b^2)
Step–2:
দেওয়া আছে , তাই—
513 = 3 \times (a^2 + ab + b^2)
a^2 + ab + b^2 = \frac{513}{3} = 171
Step–3:
এখন,
a^2 + b^2 = (a – b)^2 + 2ab = 3^2 + 2ab = 9 + 2ab
তাহলে—
a^2 + ab + b^2 = (9 + 2ab) + ab = 9 + 3ab
Step–4:
171 = 9 + 3ab
3ab = 162
ab = 54
—
✅ সঠিক উত্তর: ক) 54
—
50. পাশাপাশি দুটি বর্গক্ষেত্রের প্রত্যেক বাহু ২০ ফুট। BC = 6, CF = 5 ফুট, DE = ?
(ক) ১৫ ফুট
(খ) ১২ ফুট
(গ) ২০ ফুট
(ঘ) ১৮ ফুট
Answer: (গ) ২০ ফুট
Explanation: প্রশ্নে চিত্র না থাকায় সবচেয়ে যৌক্তিক লেবেলিং ধরে ধরে সমস্যা সিদ্ধান্তমূলকভাবে সমাধান করা হয়েছে। বাম বর্গের কোণগুলো ধরে নিয়ে C হলো দুই বর্গের সংযুক্ত কোণ, B ও F-কে যথাক্রমে C থেকে নিচের দিকে ৬ ফুট এবং ডান দিকে ৫ ফুট অবস্থানে নেওয়া হলে বক্ররেখা/রেখাগুলোর ছেদের বিন্দু E গণনা করলে পাওয়া যায়
ফুট। পরীক্ষার অপশনগুলো পূর্ণসংখ্যা হওয়ায় সবচেয়ে কাছাকাছি এবং যুক্তিযুক্ত উত্তর হলো ২০ ফুট (অপশন গ)।
51. ২ টা ১৫ মিনিটের সময় ঘন্টার কাঁটা ও মিনিটের কাঁটার মধ্যে কত ডিগ্রি কোণ উৎপন্ন হয়?
(ক) ২৩°
(খ) ২২.৫°
(গ) ২০°
(ঘ) ২৩.৫°
Answer: (খ) ২২.৫°
ব্যাখ্যা:
ঘড়ির কাঁটার মাঝে কোণ নির্ণয়ের সূত্র:
\text{কোণ} = |(30 \times ঘণ্টা) – (11/2 \times মিনিট)|
এখানে,
ঘণ্টা = 2
মিনিট = 15
তাহলে,
\text{কোণ} = |(30 \times 2) – \left(\frac{11}{2} \times 15\right)|
= |60 – 82.5|
= |-22.5| = 22.5°
অতএব, উৎপন্ন কোণ = ২২.৫°
→ Answer: (খ) ২২.৫°
52. বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মাপের অনুপাত কত?
(ক) ৯ : ৫
(খ) ১১ : ৭
(গ) ১০ : ৬
(ঘ) ৮ : ৬
Answer: (গ) ১০ : ৬
ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত হলো ১০ : ৬।
অর্থাৎ পতাকার দৈর্ঘ্য ১০ একক হলে, প্রস্থ হবে ৬ একক।
এই অনুপাত সরকারি ভাবে নির্ধারিত ও ব্যবহৃত হয় সব জাতীয় ও সরকারিভাবে অনুমোদিত স্থানে।
এটি জাতীয় পতাকার সৌন্দর্য ও ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
→ Answer: (গ) ১০ : ৬
53. বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী কোনটি?
(ক) মেঘনা
(খ) পদ্মা
(গ) ব্রহ্মপুত্র
(ঘ) যমুনা
Answer: (ক) মেঘনা
ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী মেঘনা নদী।
এটি দৈর্ঘ্যে নয়, বরং প্রস্থ ও পানিপ্রবাহের পরিমাণের দিক থেকে বৃহত্তম।
বিশেষ করে চাঁদপুরের কাছে পদ্মা ও যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে মেঘনা অনেক প্রশস্ত ও গভীর হয়ে উঠে।
মেঘনা নদীর কিছু স্থানে প্রস্থ ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত, যা একে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদী হিসেবে চিহ্নিত করে।
→ Answer: (ক) মেঘনা
54. কোন জেলা তুলা চাষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী?
(ক) রাজশাহী
(খ) ফরিদপুর
(গ) রংপুর
(ঘ) যশোর
Answer: (ঘ) যশোর
ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশে তুলা চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী জেলা হলো যশোর।
এই অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ু তুলা চাষের জন্য উপযোগী এবং অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে।
তুলা উন্নয়ন বোর্ড (Cotton Development Board) কর্তৃক যশোর জেলাকে একটি প্রধান উৎপাদন অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
এছাড়া তুলা চাষে এখানকার কৃষকদের অভিজ্ঞতা এবং অবকাঠামোগত সহায়তাও এই জেলার উপযোগিতা বাড়িয়েছে।
→ Answer: (ঘ) যশোর
55. ইউরিয়া সারের কাঁচামাল—
(ক) অপরিশোধিত তেল
(খ) ক্লিংকার
(গ) এমোনিয়া
(ঘ) মিথেন গ্যাস
Answer: (ঘ) মিথেন গ্যাস
ব্যাখ্যা:
ইউরিয়া সার তৈরি করতে প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় মিথেন গ্যাস (CH₄)।
মিথেন গ্যাস থেকে প্রথমে হাইড্রোজেন প্রস্তুত করা হয়, যা পরে নাইট্রোজেন গ্যাসের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এমোনিয়া (NH₃) তৈরি করে।
এই এমোনিয়াই ইউরিয়া উৎপাদনের মূল উপাদান।
অর্থাৎ, ইউরিয়া সারের উৎপাদন প্রক্রিয়ার গোড়ার কাঁচামাল হিসেবে মিথেন গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
→ Answer: (ঘ) মিথেন গ্যাস
56. বাসস একটি—
(ক) সংবাদ সংস্থার নাম
(খ) একটি প্রেস ক্লাবের নাম
(গ) একটি খবরের কাগজের নাম
(ঘ) একটি বিদেশী কোম্পানির নাম
Answer: (ক) সংবাদ সংস্থার নাম
ব্যাখ্যা:
বাসস (BSS) এর পূর্ণরূপ হলো Bangladesh Sangbad Sangstha।
এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রধান সংবাদ সংস্থা।
১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা দেশি ও আন্তর্জাতিক সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরবরাহ করে থাকে।
বাসস থেকে সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়-বিষয়ক তথ্য নির্ভরযোগ্যভাবে প্রচার করা হয়।
→ Answer: (ক) সংবাদ সংস্থার নাম
57. বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়—
(ক) ২৬ মার্চ
(খ) ১৬ ডিসেম্বর
(গ) ২১ ফেব্রুয়ারি
(ঘ) ১৪ ডিসেম্বর
Answer: (ঘ) ১৪ ডিসেম্বর
ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশে ১৪ ডিসেম্বর দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—শিক্ষক, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, প্রকৌশলীসহ বহু বুদ্ধিজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড ছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্র।
এই দিনটি জাতীয়ভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পালন করা হয়।
→ Answer: (ঘ) ১৪ ডিসেম্বর
58. বাংলাদেশের কোন বনভূমি শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত?
(ক) সিলেটের বনভূমি
(খ) পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমি
(গ) ভাওয়াল ও মধুপুরের বনভূমি
(ঘ) খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালীর বনভূমি
Answer: (গ) ভাওয়াল ও মধুপুরের বনভূমি
ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশে শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত বনভূমি হলো ভাওয়াল ও মধুপুর অঞ্চল।
এই দুটি বনভূমিকে শালবন (Sal Forest) হিসেবেও ডাকা হয়।
এখানে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো শালগাছ ঘনভাবে বিস্তৃত, যা দেশের শালবনের বড় অংশ গঠন করে।
এই অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ু শালগাছ বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
→ Answer: (গ) ভাওয়াল ও মধুপুরের বনভূমি
59. চীন–বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য—
(ক) ঢাকা শহরকে নদীর ওপারে বিস্তৃত করা
(খ) বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সুসম্পর্কের স্থায়ী বন্ধন সৃষ্টি করা
(গ) ঢাকা–আরিচা রোডে যানবাহন চলাচলের চাপ কমানো
(ঘ) দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করা
Answer: (ঘ) দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করা
ব্যাখ্যা:
চীন–বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ (যা পদ্মা সেতু সংযোগ প্রকল্পের অংশ) নির্মাণের মূল লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ উন্নত করা।
এটি নদী পারাপারে সময় ও দূরত্ব কমিয়ে আনে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবাহে গতি সঞ্চার করে।
চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মিত এই সেতু ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
→ Answer: (ঘ) দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের সাথে ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করা
60. হরিপুরে তেল আবিষ্কৃত হয়—
(ক) ১৯৪৭ সালে
(খ) ১৯৮৬ সালে
(গ) ১৯৮৫ সালে
(ঘ) ১৯৮৪ সালে
Answer: (খ) ১৯৮৬ সালে
ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশে প্রথম তেল আবিষ্কৃত হয় সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকায়, এবং তা ঘটে ১৯৮৬ সালে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এর তত্ত্বাবধানে এখানে খননকাজ চালানো হয়।
এই আবিষ্কার ছিল দেশের জ্বালানি খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
→ Answer: (খ) ১৯৮৬ সালে
61. মিশুকের স্থপতি কে?
(ক) মোস্তফা মনোয়ার
(খ) হামিদুর রহমান
(গ) শামীম শিকদার
(ঘ) হামিদুজ্জামান খান
Answer: (ক) মোস্তফা মনোয়ার
ব্যাখ্যা:
মিশুক বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত একটি তিন চাকার যানবাহন (থ্রি-হুইলার), যা সাধারণত রিকশা ও অটোরিকশার সংমিশ্রণ বলে ধরা হয়।
এই যানটি মূলত স্বল্প খরচে গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মোস্তফা মনোয়ার, যিনি একজন খ্যাতিমান শিল্পী ও কার্টুনিস্ট, তিনি মিশুকের নকশা বা ডিজাইন করেন, যার ফলে তাকে মিশুকের “স্থপতি” বলা হয়।
→ Answer: (ক) মোস্তফা মনোয়ার
62. বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয়?
(ক) রংপুর
(খ) ময়মনসিংহ
(গ) টাঙ্গাইল
(ঘ) ফরিদপুর
Answer: (ঘ) ফরিদপুর
ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশে পাট উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় জেলা হলো ফরিদপুর।
এ জেলার উর্বর দোআঁশ মাটি, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও অনুকূল জলবায়ুর কারণে পাট চাষ ব্যাপকভাবে হয়।
ফরিদপুর জেলায় প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ পাট উৎপন্ন হয়, যা স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের পাশাপাশি দেশব্যাপী সরবরাহ ও রপ্তানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
→ Answer: (ঘ) ফরিদপুর
আপডেট অনুযায়ী,
বাংলাদেশের মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ প্রায় ৮৮ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৫ হেক্টর,
যা একরে রূপান্তর করলে হয় প্রায় ২ কোটি ১৭ লক্ষ একর (প্রায়)।
এটি উপরের প্রশ্নে থাকা অপশনগুলোর কোনটির সঙ্গেই পুরোপুরি মেলে না।
অতএব,
63. বাংলাদেশের মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ প্রায় কত?
(ক) ২ কোটি ৪০ লক্ষ একর
(খ) ২ কোটি ৫০ লক্ষ একর
(গ) ২ কোটি একর
(ঘ) ২ কোটি ২৫ লক্ষ একর
Answer: “বাতিল করা হয়েছে”
ব্যাখ্যা:
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ১৭ লক্ষ একর, যা প্রশ্নে দেওয়া কোনো অপশনের সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না।
এই কারণে প্রশ্নটির নির্ভরযোগ্য ও সঠিক উত্তর নির্ধারণ করা সম্ভব নয়, ফলে প্রশ্নটি বাতিলযোগ্য হিসেবে গণ্য হয়।
→ Answer: “বাতিল করা হয়েছে”
64. উপকূল হতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা কত?
(ক) ২৫০ নটিক্যাল মাইল
(খ) ২০০ নটিক্যাল মাইল
(গ) ২২৫ নটিক্যাল মাইল
(ঘ) ১০ নটিক্যাল মাইল
Answer: (খ) ২০০ নটিক্যাল মাইল
ব্যাখ্যা:
আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুযায়ী, উপকূলবর্তী প্রতিটি দেশের সমুদ্রসীমা তিনটি অংশে বিভক্ত—
১. আঞ্চলিক জলসীমা (১২ নটিক্যাল মাইল),
২. সংলগ্ন অঞ্চল (২৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত),
৩. অর্থনৈতিক অঞ্চল বা EEZ – Exclusive Economic Zone — যা উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত।
বাংলাদেশও এই নীতিমালার অধীনে উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল বা অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা দাবি করে থাকে, যেখানে মৎস্য, খনিজ ও অন্যান্য সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের অধিকার থাকে কেবল বাংলাদেশের।
→ Answer: (খ) ২০০ নটিক্যাল মাইল
65. মহাস্থানগড় কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
(ক) করতোয়া
(খ) গঙ্গা
(গ) ব্রহ্মপুত্র
(ঘ) মহানন্দা
Answer: (ক) করতোয়া
ব্যাখ্যা:
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি প্রাচীন নগর ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যা বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।
এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি করতোয়া নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল।
মহাস্থানগড় ছিল প্রাচীন পুণ্ড্রনগরের রাজধানী এবং এটি বাংলাদেশে আবিষ্কৃত অন্যতম প্রাচীন নগর সভ্যতার নিদর্শন।
করতোয়া নদীর সান্নিধ্য এই শহরকে বাণিজ্য ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছিল।
→ Answer: (ক) করতোয়া
66. ঔষধ নীতির প্রধান উদ্দেশ্য হলো—
(ক) অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর ঔষধ প্রস্তুত বন্ধ করা
(খ) ঔষধ শিল্পে দেশীয় কাঁচামালের ব্যবহার নিশ্চিত করা
(গ) ঔষধ শিল্পে দেশীয় শিল্পপতিদের অগ্রাধিকার দেয়া
(ঘ) বিদেশী শিল্পপতিদের দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহারে বাধ্য করা
Answer: (ক) অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর ঔষধ প্রস্তুত বন্ধ করা
ব্যাখ্যা:
১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে ঔষধ নীতি গ্রহণ করে।
এই নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল—
👉 জনগণের জন্য নিরাপদ, কার্যকর এবং সাশ্রয়ী ঔষধ নিশ্চিত করা,
👉 এবং বাজার থেকে অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর ঔষধ অপসারণ করা।
এই নীতির মাধ্যমে দেশের ঔষধ শিল্পে শৃঙ্খলা ফিরে আসে এবং গুণগত মানসম্পন্ন ঔষধ সহজলভ্য হয়।
→ Answer: (ক) অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর ঔষধ প্রস্তুত বন্ধ করা
67. বিকেএসপি হলো—
(ক) একটি ক্রীড়া শিক্ষা সংস্থার নাম
(খ) একটি সংবাদ সংস্থার নাম
(গ) একটি কিশোর ফুটবল টিমের নাম
(ঘ) একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম
Answer: (ক) একটি ক্রীড়া শিক্ষা সংস্থার নাম
ব্যাখ্যা:
বিকেএসপি এর পূর্ণরূপ হলো বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (Bangladesh Krira Shikkha Protishtan)।
এটি বাংলাদেশের একমাত্র সরকারিভাবে পরিচালিত আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়া শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যা সাভারে অবস্থিত।
বিকেএসপি বিভিন্ন খেলাধুলার জন্য প্রশিক্ষণ, আবাসন, শিক্ষা এবং অনুশীলনের সুবিধা প্রদান করে।
এখানে থেকে অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়াবিদ গড়ে উঠেছেন।
→ Answer: (ক) একটি ক্রীড়া শিক্ষা সংস্থার নাম
68. ‘মা ও মনি’ হলো—
(ক) একটি উপন্যাসের নাম
(খ) একটি প্রসাধনী শিল্পের নাম
(গ) একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার নাম
(ঘ) একটি গরিব মা ও মেয়ের গল্প কাহিনী
Answer: (গ) একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার নাম
ব্যাখ্যা:
‘মা ও মনি’ হলো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যেখানে মা ও মেয়ে একসঙ্গে অংশগ্রহণ করে।
এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য হলো মা ও মেয়ের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করা এবং খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো।
এটি বিশেষত নারী ক্রীড়াকে উৎসাহিত করার জন্য সামাজিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে আয়োজন করা হয়।
→ Answer: (গ) একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার নাম
69. প্রাচীন ‘চন্দ্রদ্বীপ’-এর বর্তমান নাম—
(ক) মালদ্বীপ
(খ) সন্দ্বীপ
(গ) বরিশাল
(ঘ) হাতিয়া
Answer: (গ) বরিশাল
ব্যাখ্যা:
প্রাচীনকালে বরিশাল অঞ্চলকে ‘চন্দ্রদ্বীপ’ নামে ডাকা হতো।
এটি ছিল একটি স্বাধীন সামন্ত রাজ্য, যার শাসকগণ ছিল চন্দ্রবংশীয়।
চন্দ্রদ্বীপ নাম থেকেই পরবর্তীতে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় বরিশাল।
বরিশাল এখন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহর ও নদীবন্দর।
→ Answer: (গ) বরিশাল
70. আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর সদর দপ্তর কোথায়?
(ক) ভিয়েনা
(খ) বন
(গ) জেনেভা
(ঘ) রোত
Answer: (ক) ভিয়েনা
ব্যাখ্যা:
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) একটি স্বতন্ত্র আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে।
এই সংস্থার সদর দপ্তর অবস্থিত অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়।
IAEA ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।
বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক নিরাপত্তা ও নিরস্ত্রীকরণে সংস্থাটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
→ Answer: (ক) ভিয়েনা
71. জাপানের পার্লামেন্টের নাম—
(ক) ডায়েট
(খ) পিনসাস
(গ) নেসেট
(ঘ) সোরা
Answer: (ক) ডায়েট
ব্যাখ্যা:
জাপানের পার্লামেন্টকে বলা হয় “ন্যাশনাল ডায়েট” (National Diet)।
এটি একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা, যা দুইটি অংশ নিয়ে গঠিত—
১. হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস (Lower House)
২. হাউস অফ কাউন্সিলর্স (Upper House)
“ডায়েট” শব্দটি গ্রিক ও ল্যাটিন উৎস থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো আলোচনা বা সভা।
জাপানে নীতিনির্ধারণ, আইন প্রণয়ন ও বাজেট অনুমোদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ এই ডায়েটের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়।
→ Answer: (ক) ডায়েট
72. আমেরিকাকে এশিয়া থেকে পৃথক করেছে কোন প্রণালী?
(ক) ফ্লোরিডা
(খ) পক
(গ) জিব্রাল্টার
(ঘ) বেরিং
Answer: (ঘ) বেরিং
ব্যাখ্যা:
বেরিং প্রণালী (Bering Strait) হলো একটি সরু জলপথ, যা এশিয়ার রাশিয়ার চুকচি উপদ্বীপ এবং উত্তর আমেরিকার আলাস্কাকে পৃথক করেছে।
এই প্রণালীর মাধ্যমে বহু আগে মানুষ এশিয়া থেকে আমেরিকায় অভিবাসন করেছিল বলে অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন।
এটি প্রশান্ত মহাসাগরের একটি অংশ এবং ভৌগোলিকভাবে এশিয়া ও উত্তর আমেরিকার সীমানা নির্দেশ করে।
→ Answer: (ঘ) বেরিং
73. সাউথ কমিশনের চেয়ারম্যান –
(ক) জেনারেল সুহার্তো
(খ) রবার্ট মুগাবে
(গ) জুলিয়াস নায়ারে
(ঘ) ফিডেল ক্যাস্ট্রো
Answer: (গ) জুলিয়াস নায়ারে
ব্যাখ্যা:
সাউথ কমিশন (South Commission) গঠিত হয়েছিল উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে।
এর প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন তানজানিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি জুলিয়াস নায়ারে (Julius Nyerere)।
তিনি উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার প্রবক্তা ছিলেন।
→ Answer: (গ) জুলিয়াস নায়ারে
74. আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস পালিত হয়—
(ক) ৭ জুলাই
(খ) ৯ মার্চ
(গ) ৫ জুন
(ঘ) ২১ মে
Answer: (গ) ৫ জুন
ব্যাখ্যা:
আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস (World Environment Day) প্রতি বছর ৫ জুন তারিখে সারা বিশ্বে পালিত হয়।
১৯৭২ সালে স্টকহোমে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মানব পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলনে (UN Conference on the Human Environment) এই দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর মূল উদ্দেশ্য হলো—
👉 পরিবেশ সচেতনতা বাড়ানো
👉 পরিবেশ রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য ব্যক্তি ও সমাজকে উদ্বুদ্ধ করা
জাতিসংঘ প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন থিম নির্ধারণ করে এবং বিভিন্ন দেশ এই দিবসের আয়োজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
→ Answer: (গ) ৫ জুন
75. জাতিসংঘ দিবস পালিত হয়—
(ক) ২৪ অক্টোবর
(খ) ২৪ আগস্ট
(গ) ২৪ ডিসেম্বর
(ঘ) ২৪ নভেম্বর
Answer: (ক) ২৪ অক্টোবর
ব্যাখ্যা:
জাতিসংঘ দিবস (United Nations Day) প্রতি বছর ২৪ অক্টোবর তারিখে পালিত হয়।
এই দিনে ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ সনদ (UN Charter) আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় এবং জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
এই দিবসটি জাতিসংঘের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য—
👉 আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা
👉 মানবাধিকার রক্ষা
👉 উন্নয়ন সহযোগিতা—
এসব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পালন করা হয়।
→ Answer: (ক) ২৪ অক্টোবর
76. নামিবিয়ার রাজধানী—
(ক) কারাভু
(খ) উইন্ডহুক
(গ) প্রিটোরিয়া
(ঘ) কোয়াভি
Answer: (খ) উইন্ডহুক
ব্যাখ্যা:
উইন্ডহুক (Windhoek) হলো দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নামিবিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
এটি দেশের প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
উইন্ডহুক শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১,৬৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এবং এটি একটি পরিকল্পিত ও আধুনিক শহর।
নামিবিয়া ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এই শহরটি কেন্দ্রীয় রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
→ Answer: (খ) উইন্ডহুক
77. ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ঋণ প্রদান করে—
(ক) স্বাভাবিক সুদে
(খ) বিনা সুদে
(গ) অল্প সুদে
(ঘ) অতি সামান্য সুদে
Answer: (খ) বিনা সুদে
ব্যাখ্যা:
ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (Islamic Development Bank – IDB) একটি বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
এই ব্যাংক সুদ (interest) ভিত্তিক অর্থায়ন পরিহার করে এবং এর পরিবর্তে ব্যবহার করে—
👉 মুদারাবা
👉 মুশারাকা
👉 ইজারা
👉 বায়-সালাম
👉 এবং অন্যান্য শরীয়াহ সম্মত পদ্ধতি।
IDB মূলত উন্নয়ন প্রকল্পে বিনা সুদে বা শরীয়াহভিত্তিক পদ্ধতিতে ঋণ প্রদান করে, যাতে সুদের পরিবর্তে অংশীদারিত্ব বা লভ্যাংশ ভিত্তিক ফেরত আদায় হয়।
→ Answer: (খ) বিনা সুদে
78. ওডারনীস নদী –
(ক) পূর্ব জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে সীমা নির্ধারক
(খ) পশ্চিম জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে সীমা নির্ধারক
(গ) পশ্চিম জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে সীমা নির্ধারক
(ঘ) সংযুক্ত জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে সীমা নির্ধারক
Answer: (ক) পূর্ব জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে সীমা নির্ধারক
ব্যাখ্যা:
ওডার-নীস (Oder-Neisse) নদী হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সীমারেখা, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পূর্ব জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা হিসেবে নির্ধারিত হয়।
এই সীমারেখা “Oder-Neisse Line” নামে পরিচিত।
এটি মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব এবং ইয়াল্টা সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত হয়েছিল।
বর্তমানে এই নদী জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে একটি স্বীকৃত সীমান্তরেখা হিসেবে বিবেচিত হয়।
→ Answer: (ক) পূর্ব জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে সীমা নির্ধারক
79. ‘হারারে’-এর পুরাতন নাম—
(ক) সলসবেরি
(খ) ফরমোজা
(গ) পেট্রোগ্রাড
(ঘ) রোডেসিয়া
Answer: (ক) সলসবেরি
ব্যাখ্যা:
হারারে (Harare) হচ্ছে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ের রাজধানী।
এই শহরটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে পরিচিত ছিল সলসবেরি (Salisbury) নামে।
১৯৮০ সালে জিম্বাবুয়ে স্বাধীনতা লাভ করার পর ১৯৮২ সালে শহরটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় হারারে,
যা ছিল স্থানীয় শোনা (Shona) জনগোষ্ঠীর এক প্রধান নেতার নামানুসারে।
→ Answer: (ক) সলসবেরি
80. পবিত্রভূমি কোনটিকে বলা হয়?
(ক) প্যালেস্টাইন
(খ) জেরুজালেম
(গ) জেদ্দা
(ঘ) তায়েফ
Answer: (খ) জেরুজালেম
ব্যাখ্যা:
জেরুজালেম হলো ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলিম—এই তিনটি প্রধান ধর্মের জন্যই অত্যন্ত পবিত্র একটি স্থান, তাই একে বলা হয় “পবিত্রভূমি” বা “Holy Land”।
মুসলমানদের কাছে এটি পবিত্র কারণ এখানে রয়েছে আল-আকসা মসজিদ, যা ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান এবং রাসূল (সা.) এর মিরাজের ঘটনা এখানেই ঘটেছে।
ইহুদিদের কাছে এখানে রয়েছে টেম্পল মাউন্ট (The Western Wall)।
খ্রিস্টানদের কাছে এটি পবিত্র কারণ এখানে রয়েছে চার্চ অফ দ্য হলি সেপালচার, যেটি যীশু খ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার স্থান হিসেবে গণ্য।
→ Answer: (খ) জেরুজালেম
81. এডেন কোন দেশের সমুদ্রবন্দর?
(ক) ইয়েমেন
(খ) কাতার
(গ) ওমান
(ঘ) ইরাক
Answer: (ক) ইয়েমেন
ব্যাখ্যা:
এডেন (Aden) হলো ইয়েমেন দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর ও শহর, যা আরব সাগরের তীরে অবস্থিত।
এই বন্দরটি বাব-আল-মান্দেব প্রণালীর কাছে অবস্থিত বলে এটি ভূরাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এডেন শহর একসময় ব্রিটিশদের উপনিবেশ ছিল এবং পরে এটি দক্ষিণ ইয়েমেনের রাজধানী হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
বর্তমানে এটি ইয়েমেনের প্রধান বন্দরগুলোর একটি।
→ Answer: (ক) ইয়েমেন
82. মালদ্বীপের মুদ্রার নাম কী?
(ক) রুপী
(খ) ডলার
(গ) পাউন্ড
(ঘ) রুপাইয়া
Answer: (ঘ) রুপাইয়া
ব্যাখ্যা:
মালদ্বীপের সরকারিভাবে প্রচলিত মুদ্রার নাম হলো “রুফিয়া (Rufiyaa)”, যা স্থানীয়ভাবে উচ্চারণ হয় “রুপাইয়া”।
মালদ্বীপ রুফিয়ার আন্তর্জাতিক সংকেত হচ্ছে MVR।
১ রুফিয়া = ১০০ লারি (Laari)।
এই মুদ্রাটি মালদ্বীপের কেন্দ্রীয় ব্যাংক Maldives Monetary Authority দ্বারা ইস্যু করা হয় এবং এটি মালদ্বীপের একমাত্র বৈধ মুদ্রা।
→ Answer: (ঘ) রুপাইয়া
83. ১৯৯২ সালে বিশ্ব অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয় কোথায়?
(ক) বার্সিলোনা
(খ) জুরিখ
(গ) বার্লিন
(ঘ) ব্রাসেলস
Answer: (ক) বার্সিলোনা
ব্যাখ্যা:
১৯৯২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্পেনের বার্সিলোনা (Barcelona) শহরে।
এটি ছিল ২৫তম আধুনিক অলিম্পিক (XXV Olympiad) এবং এই গেমসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, যেমন:
এই প্রথমবারের মতো সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেঙে যাওয়ার পর সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলো একত্রে “Unified Team” নামে অংশ নেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা বহু বছর পর বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের পর অংশগ্রহণ করে।
পেশাদার NBA খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত “ড্রিম টিম” এই অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে অংশ নেয় এবং দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
→ Answer: (ক) বার্সিলোনা
84. আফটা (AFTA) বলতে কী বোঝায়?
(ক) একটি বাণিজ্যিক গোষ্ঠী
(খ) পূর্ব আফ্রিকার একটি সংবাদ সংস্থা
(গ) একটি বিমান সংস্থা
(ঘ) একটি সামরিক চুক্তি
Answer: (ক) একটি বাণিজ্যিক গোষ্ঠী
ব্যাখ্যা:
AFTA হলো ASEAN Free Trade Area-এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
এটি আসিয়ান (ASEAN) দেশগুলোর মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি, যার মূল উদ্দেশ্য হলো—
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে শুল্ক কমিয়ে পণ্য ও সেবার অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা এবং
অঞ্চলভিত্তিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করা।
এই চুক্তিটি ১৯৯২ সালে গঠিত হয় এবং এতে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো অংশ নেয়, যেমনঃ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম প্রভৃতি।
→ Answer: (ক) একটি বাণিজ্যিক গোষ্ঠী
85. আন্তর্জাতিক রোটারি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কে?
(ক) W. Wilson
(খ) Paul Harris
(গ) Baden Powel
(ঘ) H. Wilson
Answer: (খ) Paul Harris
ব্যাখ্যা:
রোটারি ইন্টারন্যাশনাল (Rotary International) একটি আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন, যার মূল লক্ষ্য হলো— সমাজসেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং বিশ্বশান্তিতে অবদান রাখা।
এই সংস্থাটি ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন পল হ্যারিস (Paul Harris), একজন আইনজীবী, যিনি চারজন বন্ধুকে নিয়ে এই সংগঠনের সূচনা করেন।
রোটারি ক্লাবের মূল নীতি:
> “Service Above Self” (নিজ স্বার্থের ঊর্ধ্বে সেবা)
→ Answer: (খ) Paul Harris
86. ধানের ফুলে পরাগ সংযোগ ঘটে—
(ক) বাতাসের সাহায্যে পরাগ ঝরে পড়ে
(খ) পাতা দ্বারা স্থানান্তরিত হয়ে
(গ) কীটপতঙ্গের সাহায্যে
(ঘ) ফুলে ফুলে সংস্পর্শে
Answer: (ক) বাতাসের সাহায্যে পরাগ ঝরে পড়ে
ব্যাখ্যা:
ধান (Oryza sativa) হলো একটি বায়ুপরাগিত (wind-pollinated) ফসল।
এর অর্থ, পরাগরেণু (pollen grain) বাতাসে ভেসে স্ত্রীলিঙ্গ ফুলে পৌঁছায় এবং সেখানে পরাগ সংযোগ (pollination) ঘটে।
ধানের পরাগরেণু খুবই হালকা ও ক্ষুদ্র হওয়ায় এটি সহজে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
এজন্যই ধানে পরাগ সংযোগের প্রধান মাধ্যম হলো বায়ু বা বাতাস — কোনো পতঙ্গ বা ফুলের ঘর্ষণ নয়।
→ Answer: (ক) বাতাসের সাহায্যে পরাগ ঝরে পড়ে
87. সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে কত?
(ক) ১০ কিমি
(খ) ১০ নিউটন
(গ) ২৭ কিমি
(ঘ) ৫ কিমি
Answer: (খ) ১০ নিউটন
ব্যাখ্যা:
সমুদ্রপৃষ্ঠে, প্রতি ১ বর্গ সেন্টিমিটার (cm²) এলাকায় বায়ু নিচের দিকে প্রায় ১০ নিউটন (N) বল প্রয়োগ করে।
এটি বোঝায় যে আমাদের শরীরের প্রতিটি বর্গ সেন্টিমিটারে বাতাস প্রায় ১০ নিউটন চাপ দেয় — কিন্তু আমরা টের পাই না, কারণ আমাদের শরীর ভেতর থেকে সমান চাপ দিয়ে তা ভারসাম্য রাখে।
এই চাপটিকে “বায়ুমণ্ডলীয় চাপ” (Atmospheric Pressure) বলা হয়, এবং একে প্রায় ১ atm = 101325 Pa (পাসকাল) হিসেবেও প্রকাশ করা হয়।
→ Answer: (খ) ১০ নিউটন
88. সর্বপ্রথমে যে উফশি ধান এ দেশে চালু হয়ে এখনো বর্তমান রয়েছে, তা হলো—
(ক) ইরি – ৮
(খ) ইরি – ১
(গ) ইরি – ২০
(ঘ) ইরি – ৩
Answer: (ক) ইরি – ৮
ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশে উফশি ধান (উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান) চাষের সূচনা হয় ১৯৬০-এর দশকে, মূলত খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায়।
এই সময়, IRRI (International Rice Research Institute) কর্তৃক উদ্ভাবিত জাত ইরি-৮ (IR-8) বাংলাদেশে চালু করা হয়।
এটি ছিল একধরনের উচ্চফলনশীল ধান, যার ফলন প্রচলিত ধানের চেয়ে অনেক বেশি।
→ ইরি-৮ ধান এখনও বিভিন্ন এলাকায় চাষ হয়, যদিও এখন আরও আধুনিক জাত রয়েছে।
→ Answer: (ক) ইরি – ৮
89. ইস্পাত সাধারণ লোহা থেকে ভিন্ন। কারণ এতে—
(ক) বিশেষ ধরনের আকরিক ব্যবহার করা হয়েছে
(খ) সুনিয়ন্ত্রিত পরিমাণ কার্বন রয়েছে
(গ) লোহাকে টেম্পারিং করা হয়েছে
(ঘ) সব বিজাতীয় দ্রব্য বের করে দেয়া হয়েছে
Answer: (খ) সুনিয়ন্ত্রিত পরিমাণ কার্বন রয়েছে
ব্যাখ্যা:
ইস্পাত (Steel) হলো একধরনের লোহার মিশ্রণ, যার মধ্যে থাকে সুনির্দিষ্ট ও নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে কার্বন (Carbon) — সাধারণত ০.২% থেকে ২.১% পর্যন্ত।
🔹 সাধারণ লোহা (wrought iron বা cast iron)–এ কার্বনের পরিমাণ বেশি বা অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে, ফলে তা ভঙ্গুর বা নমনীয় হয় না।
🔹 কার্বনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ইস্পাতকে শক্তিশালী, নমনীয় ও টেকসই করা যায়।
🔹 এই কারণেই ইস্পাতকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, গঠনমূলক কাজ ও শিল্পে বেশি ব্যবহার করা হয়।
→ Answer: (খ) সুনিয়ন্ত্রিত পরিমাণ কার্বন রয়েছে
90. প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো—
(ক) নাইট্রোজেন গ্যাস
(খ) মিথেন
(গ) হাইড্রোজেন গ্যাস
(ঘ) কার্বন মনোক্সাইড
Answer: (খ) মিথেন
ব্যাখ্যা:
প্রাকৃতিক গ্যাস হলো একধরনের জৈব জ্বালানি, যা মাটির নিচে জমে থাকে এবং প্রধানত মিথেন (CH₄) গ্যাস দিয়ে গঠিত।
🔹 মিথেন একটি অদৃশ্য, গন্ধহীন এবং দাহ্য গ্যাস — এটি প্রাকৃতিক গ্যাসের ৭০%-৯০% পর্যন্ত হয়ে থাকে।
🔹 এই গ্যাস ব্যবহৃত হয় রান্নায়, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং সার কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে।
🔹 বাকি উপাদানগুলো (যেমন: ইথেন, প্রোপেন, বুটেন, CO₂, N₂) সামান্য পরিমাণে থাকে।
→ মনে রাখার কৌশল:
“প্রাকৃতিক গ্যাস মানেই মিথেনের রাজত্ব!”
→ Answer: (খ) মিথেন
91. মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাকে বলা হয়—
(ক) পরমাণু
(খ) ইলেকট্রন
(গ) অণু
(ঘ) প্রোটন
Answer: (ক) পরমাণু
ব্যাখ্যা:
মৌলিক পদার্থ (যেমন: হাইড্রোজেন, অক্সিজেন) গঠিত হয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দিয়ে, যাকে পরমাণু (Atom) বলা হয়।
🔹 পরমাণু হলো একটি মৌলের সবচেয়ে ছোট একক, যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয়।
🔹 এটি গঠিত হয় তিনটি উপাদানে: ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন।
🔹 পরমাণুই রাসায়নিক পরিবর্তনের সময় নিজেকে নতুন যৌগে যুক্ত করে বা আলাদা হয়।
> মনে রাখার সহজ লাইন:
➡️ “Chemical process-এ ছোট্ট যোদ্ধা – তার নাম পরমাণু!”
→ Answer: (ক) পরমাণু
এবার তুমি বলো—পরমাণু আর অণুর মধ্যে পার্থক্যটা কী?
92. সমুদ্র স্রোতের অন্যতম কারণ—
(ক) বায়ু প্রবাহের প্রভাব
(খ) সমুদ্রের পানিতে তাপ পরিচালনা
(গ) সমুদ্রের পানিতে ঘনত্বের তারতম্য
(ঘ) সমুদ্রের ঘূর্ণিঝড়
Answer: (ক) বায়ু প্রবাহের প্রভাব
ব্যাখ্যা:
সমুদ্র স্রোত (Ocean Current) হলো সাগরের পানির ধারাবাহিক গতি বা প্রবাহ। এটি সৃষ্টি হয় বিভিন্ন কারণের জন্য, তবে সবচেয়ে সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো বায়ু প্রবাহ।
🔹 বায়ু প্রবাহ (Wind) যখন সমুদ্রের উপর দিয়ে বয়ে যায়, তখন সেটি পানির উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং পানিকে একদিকে ঠেলে দেয় — ফলে গঠিত হয় স্রোত।
🔹 উদাহরণ: পশ্চিমী বাতাস অনেক সাগরে উষ্ণ বা শীতল স্রোত সৃষ্টি করে।
তবে মনে রাখতে হবে, স্রোত তৈরির আরও কিছু সহায়ক কারণ আছে, যেমন—
পৃথিবীর ঘূর্ণন (Coriolis effect)
তাপমাত্রা ও ঘনত্বের পার্থক্য
সমুদ্র তলের আকার ইত্যাদি।
→ কিন্তু মূল কারণ ও সবচেয়ে সাধারণ প্রভাব হলো:
বায়ু প্রবাহের প্রভাব।
93. কাজ করার সামর্থ্যকে বলে—
(ক) ক্ষমতা
(খ) কাজ
(গ) শক্তি
(ঘ) বল
Answer: (গ) শক্তি
ব্যাখ্যা:
বিজ্ঞান অনুযায়ী, “শক্তি (Energy)” হলো কোনো বস্তুর কাজ করার সামর্থ্য। অর্থাৎ, কোনো বস্তু যদি কাজ করতে পারে, তাহলে সেটির মধ্যে শক্তি রয়েছে।
🔹 উদাহরণ:
– পানি যখন উঁচু জায়গায় থাকে, তার মধ্যে বিভব শক্তি থাকে।
– ব্যাটারির মধ্যে রাসায়নিক শক্তি থাকে, যা পরে বিদ্যুতে রূপান্তর হয়।
🧠
94. রংধনু সৃষ্টির বেলায় পানির কণাগুলো—
(ক) দর্পণের কাজ করে
(খ) আতষীকাচের কাজ করে
(গ) লেন্সের কাজ করে
(ঘ) প্রিজমের কাজ করে
Answer: (ঘ) প্রিজমের কাজ করে
ব্যাখ্যা:
রংধনু তখনই সৃষ্টি হয় যখন সূর্যের আলো বৃষ্টির ফোঁটার মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে এবং বিচ্ছুরণ (dispersion) ঘটে। প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটা প্রিজমের মতো আচরণ করে, অর্থাৎ সূর্যালোককে সাতটি রঙে ভেঙে দেয়।
🔍 কী হয় তখন?
1. আলো ফোঁটার মধ্যে ঢুকে বিক্রিয় হয় (refraction),
2. এরপর রঙগুলো বিচ্ছিন্ন হয় (dispersion),
3. শেষে ফোঁটা থেকে বের হয়ে প্রতিফলিত (reflection) হয়ে আমাদের চোখে আসে।
🧠
৯৫. কাচ তৈরির প্রধান কাঁচামাল হলো—
(ক) জিপসাম
(খ) বালি
(গ) সাজি মাটি
(ঘ) চুনাপাথর
Answer: (খ) বালি
ব্যাখ্যা:
কাচ তৈরি করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সিলিকা (SiO₂), যা প্রধানত বালি থেকেই পাওয়া যায়।
এই সিলিকাকে চুন ও সোডার সাথে গলিয়ে কাচ তৈরি করা হয়।
96. কম্পিউটারের সফটওয়্যার বলতে বুঝানো হয়—
(ক) এর প্রোগ্রাম বা কর্ম পরিকল্পনার কৌশল
(খ) তথ্য দেয়া ও তথ্য নেয়ার অংশ বিশেষ
(গ) যেসব অংশ মুদ্রায়িত অবস্থায় থাকে
(ঘ) কম্পিউটার তৈরির নকশা
Answer: (ক) এর প্রোগ্রাম বা কর্ম পরিকল্পনার কৌশল
ব্যাখ্যা:
সফটওয়্যার (Software) হলো এক ধরনের অদৃশ্য নির্দেশাবলি বা প্রোগ্রাম, যা কম্পিউটারকে নির্দিষ্টভাবে কাজ করতে বলে।
🔹 এটি কোনো ভৌত জিনিস নয় — মানে, চোখে দেখা বা ছোঁয়া যায় না।
🔹 সফটওয়্যার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে নির্দেশনা দেয় কীভাবে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করতে হবে।
🔹 যেমন: অপারেটিং সিস্টেম, ওয়ার্ড প্রসেসর, ব্রাউজার, অ্যাপস ইত্যাদি।
—
৯৭. মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে যে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা আমাদের দেশে প্রচলিত, তাতে মাইক্রোওয়েভ অধিকাংশ দূরত্ব অতিক্রম করে—
(ক) ওয়েভ গাইডের মধ্য দিয়ে
(খ) ভূমি ও আয়নোস্ফেয়ারের মধ্যে প্রতিফলন হতে হতে
(গ) বিশেষ ধরনের ক্যাবলের মধ্য দিয়ে
(ঘ) খোলামেলা জায়গার মধ্য দিয়ে সরল রেখায়
Answer: (ক) ওয়েভ গাইডের মধ্য দিয়ে
ব্যাখ্যা:
📡 মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল সাধারণভাবে ওয়েভ গাইড নামক বিশেষ পাইপ বা চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো হয়।
এগুলো ধাতব টিউব যা সিগন্যালকে প্রতিফলনের মাধ্যমে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পৌঁছে দেয়।
এতে সিগন্যাল কম ক্ষয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছায়।
—
98. মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা কত?
(ক) ২৪ জোড়া
(খ) ২৬ জোড়া
(গ) ২৩ জোড়া
(ঘ) ২৫ জোড়া
Answer: (গ) ২৩ জোড়া
ব্যাখ্যা:
মানুষের দেহকোষে মোট ৪৬টি ক্রোমোজোম থাকে, অর্থাৎ ২৩ জোড়া।
🔹 এর মধ্যে ২২ জোড়া হলো সাধারণ দেহগত ক্রোমোজোম (অটোসোম)
🔹 বাকি ১ জোড়া হলো লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোম — যা ছেলে-মেয়ে নির্ধারণ করে:
ছেলে: XY
মেয়ে: XX
এই তথ্য অনুযায়ী, মানুষের ক্রোমোজোম সংখ্যা ২৩ জোড়া, অর্থাৎ:
→ Answer: (গ) ২৩ জোড়া
৯৯. সৌরকোষের বিদ্যুৎ রাতেও ব্যবহার করা সম্ভব যদি এর সঙ্গে থাকে—
(ক) ট্রান্সফরমার
(খ) জেনারেটর
(গ) স্টোরেজ ব্যাটারি
(ঘ) ক্যাপাসিটার
✅ সঠিক উত্তর: (গ) স্টোরেজ ব্যাটারি
—
ব্যাখ্যা:
🔆 সৌরকোষ (Solar Cell) দিনে সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে।
🌙 কিন্তু রাতে তো সূর্য থাকে না—তখন?
👉 তাই দিনে উৎপন্ন বিদ্যুৎ স্টোর করে রাখতে হয়, যাতে রাতেও ব্যবহার করা যায়।
এজন্য ব্যবহার করা হয়:
➡️ স্টোরেজ ব্যাটারি (Rechargeable battery)
১০০. বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ—
(ক) একই হয়
(খ) বেশি হয়
(গ) কম হয়
(ঘ) খুব কম হয়
✅ সঠিক উত্তর: (ক) একই হয়
—